কৃষ্ণা বসু – এক মানবিক কবি

কৃষ্ণা বসুকে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ভাতুষ্পুত্রের সহধর্মিনী এবং একজন রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ এবং সমাজসেবক হিসেবেই চেনেন মানুষ।

February 22, 2021 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

কৃষ্ণা বসুকে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ভাতুষ্পুত্রের সহধর্মিনী এবং একজন রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ এবং সমাজসেবক হিসেবেই চেনেন মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর আসন থেকে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি। কিন্তু এর বাইরেও তিনি ছিলেন সমকালীন বাংলার একজন বিশিষ্ট কবি। 

তাঁর কবিতায় স্পষ্টভাবে উঠে আসে নারীবাদ, প্রতিবাদ এবং মানবিকতা। আবহমান কাল ধরে চলে আসা পুরুষতান্ত্রীকতার তিনি ঘোর বিরোধী। তিনি আবৃত্তকার হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেছেন। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে তিনি নিয়মিতভাবে বক্তৃতার আমন্ত্রণ পেয়ে থাকেন।

তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে “জলের সারল্যে”, “নার্সিসাস ফুটে আছে একা”, “কার্ডিগানে কুসুম প্রস্তাব”, “নবমী নিশির গান”, “অন্যমনস্ক বাতাস ও খোলা পাতা”, “সাহসিনী কে রয়েছো, সাজো”, “সমস্ত মেয়ের হয়ে বলতে এসেছি”, “পরাণ পুতলি পদ্ম”, “ও গান যাও, নাও ভাসাও”,  “নির্জন নদীর গান” (ঢাকা থেকে প্রকাশিত, ২০০৯),  “শ্রেষ্ঠ কবিতা”, “কবিতা সংগ্রহ”, “এই নাও মায়া তরবারি”, “কথা নয়, কথার অধিক”, “দর্পণ দর্পণ”, “কবিতাই শির্ষ-শিল্প”, “শিল্পের সংসারে আছি”, “রক্তাক্ত হৃদয়ের গান”, “পরিযায়ী পাখিদের ডানা”, “দুই নারী দুই জীবন”, “কথাকৃতি”, “ছাপা অক্ষরের ডানা”, “মানুষের ভিতর ক্ষত”  প্রভৃতি।

১৯৯৯ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি “সংবাদ প্রতিদিন” পত্রিকায় “মনে মনে” কলামটি লিখেছেন। তাঁর প্রাপ্ত সম্মানের মধ্যে রয়েছে “প্রতিশ্রুতি পুরস্কার”, “সোপান পুরস্কার”, “কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় স্মৃতি পুরস্কার”, সুইডেন থেকে প্রাপ্ত “উত্তর পথ পুরস্কার” (২০০১), “কবি বিষ্ণু দে স্মৃতি পুরস্কার” (২০০৫), প্রবাসী মার্কিন বাঙালীদের দেওয়া “উত্সব পুরস্কার” (২০০৮ ও ২০১১), বাংলা অকাদেমির “আল্পনা আচার্য স্মৃতি পুরস্কার” (২০০৯), দিল্লীর সাহিত্য আকাদেমি থেকে “রাইটার ইন রেসিডেন্স” সম্মান (২০০৯) প্রভৃতি।

২০২০ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি কলকাতায় বার্ধক্যজনিত কারণে জীবনাবসান ঘটে তাঁর। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen