শারদ উপহার, কুমোরটুলি পেল ৬টি বায়ো টয়লেট

বুধবার কুমোরটুলিতে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল ছ’টি বায়ো টয়লেটের। সেই সঙ্গে সংস্কার করা হল দশটি পুরনো শৌচাগারের। উদ্যোগের নাম ‘নির্মল- Be শুদ্ধ’।

September 24, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

কুমোরটুলি। কলকাতার পুজোর আঁতুড়ঘর। কিন্তু করোনা আবহে সেখানেই গরহাজির প্রতিমাশিল্পীর জোগানদারেরা। মূলত নদিয়া, মুর্শিদাবাদ থেকে এই মানুষগুলোই আসতে চাইছিলেন না কলকাতায়। কারণ অপ্রতুল ও ব্যবহারের অযোগ্য শৌচাগার। বুধবার কুমোরটুলিতে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল ছ’টি বায়ো টয়লেটের। সেই সঙ্গে সংস্কার করা হল দশটি পুরনো শৌচাগারের। উদ্যোগের নাম ‘নির্মল- Be শুদ্ধ’।

দোরগোড়ায় দুর্গাপুজো। আজ থেকে ঠিক একমাস পর মহাসপ্তমী। পুজো আসছে জানান দেয় এই কুমোরটুলিই। খড়ের উপর মাটির প্রলেপে পুজো পুজো গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। কিন্তু করোনা কালে সেই কুমোরটুলিতেই নাকি মৃৎশিল্পীর অভাব! গতি পাচ্ছিল না ঠাকুর গড়ার কাজ। কারণ করোনা থেকে বাঁচতে যখন প্রতিনিয়ত নিজেদের স্যানিটাইজ করতে হয়, তখনই কিনা কুমোরটুলির বিভিন্ন শৌচাগার অপরিষ্কার। এমতাবস্থায় ঝিমিয়ে পড়া প্রতিমাশিল্পে হঠাৎই হ্যালোজেনের রোশনাই। সমাধান হল দীর্ঘদিনের সেই সমস্যার। ৬টি বায়ো টয়লেটের নির্মাণ এবং দশটি শৌচাগার সংস্কার করে এদিন তুলে দেওয়া হল মৃৎশিল্পীদের হাতে। সঙ্গে বোনাস দু’টি স্যানিটাইজিং টানেল ও একটি স্বয়ংক্রিয় হাত ধোয়ার মেশিন। ফিতে কেটে এদিন হল তারই উদ্বোধন।

কৃতজ্ঞচিত্তে উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানালেন থিমশিল্পীরা। সনাতন দিন্দা, সুশান্ত পাল, অমর সরকার, বিশ্বনাথ দে, অনির্বান দাস, শিবশঙ্কর দাস। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই কুমোরটুলির ঘিঞ্জি গলিতে সবাই এসেছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই তিন বর্ষীয়ান মৃৎশিল্পী রমেশচন্দ্র পাল, গোপালচন্দ্র সরকার ও মালা পালকে উদ্যোক্তাদের পক্ষে সংবর্ধিত করা হয়। সম্মান জানানো হয় থিমশিল্পী এবং ফোরামের চেয়ারম্যান নীতিশ সরকার, সহ-সভাপতি সন্দীপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও সম্পাদক শাশ্বত বসুকে। প্রত্যেকেরই বক্তব্য, “সংক্রমণের ভয়ে সিঁটিয়ে ছিল কুমোরটুলি। ঠাকুরের অর্ডার নিচ্ছিলেন না মৃৎশিল্পীরা। এবার সমস্যা অনেকটাই কাটল।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen