ফ্রান্সের দুর্দান্ত শুরু, এমবাপ্পের গোলের দাপুটে জয়
৬০ মিনিটের পর থেকে ফ্রান্সের রক্ষণে চাপ তৈরি করতে থাকে তারা। ইভান কালিউজনির শট গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন ইব্রাহিমা কোনাতে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:২৪: বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শুরুতেই দারুণ ছন্দে দেখা গেল ফ্রান্সকে। শুক্রবার রাতের ম্যাচে তারা ২-০ গোলে হারাল ইউক্রেনকে। ম্যাচের শুরুতেই মাইকেল ওলিসে গোল করে এগিয়ে দেন ফ্রান্সকে, আর শেষ মুহূর্তে কিলিয়ান এমবাপ্পে দুর্দান্ত এক কাউন্টার অ্যাটাকে গোল করে জয় নিশ্চিত করেন। এই জয়ের মাধ্যমে দিদিয়ের দেশমের দল বাছাইপর্ব শুরু করল দুর্দান্ত ভঙ্গিতে।
ম্যাচের ১০ মিনিটেই ফ্রান্স এগিয়ে যায়। ব্র্যাডলি বারকোলার নিখুঁত পাস থেকে বল পেয়ে ওলিসে নিখুঁত শটে জাল কাপান। প্রথমার্ধজুড়ে ফ্রান্সের আক্রমণ ছিল বেশ নিখুঁত। তাদের গতি আর মুভমেন্টে ইউক্রেনের রক্ষণদুর্গ বারবার ভেঙে পড়ছিল। তবে ইউক্রেনের গোলরক্ষক আনাতোলি ত্রুবিন একাই দলের রক্ষণ সামলে রাখেন। তিনি ওলিসের দ্বিতীয় গোলের প্রচেষ্টা রুখে দেন এবং পরে ওসমান দেম্বেলের শটও বাঁচিয়ে দেন।
প্রথমার্ধের শেষের দিকে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ডিজায়ারে দুএ। বিরতির পর তার জায়গায় নামানো হয় দেম্বেলেকে, যিনি আগেই উরুর চোটে দলের অনুশীলন মিস করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনি আবারও একই চোটে আক্রান্ত হয়ে ৮১ মিনিটে মাঠ ছাড়েন। তার জায়গায় প্রথমবারের মতো ফ্রান্সের জার্সি গায়ে দেন হুগো একিটিকে।
দ্বিতীয়ার্ধে ইউক্রেন কিছুটা গুছিয়ে খেলা শুরু করে। ৬০ মিনিটের পর থেকে ফ্রান্সের রক্ষণে চাপ তৈরি করতে থাকে তারা। ইভান কালিউজনির শট গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন ইব্রাহিমা কোনাতে। এরপর ইলিয়া জাবারনির শট ফ্রান্সের গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে, যা সমতা ফেরানোর বড় সুযোগ ছিল।
কিন্তু ৮২ মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদের দুই সতীর্থ ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় মুহূর্ত। চুয়ামেনির নিখুঁত থ্রু পাস থেকে বল পেয়ে বিদ্যুৎগতিতে এগিয়ে যান এমবাপ্পে এবং ঠান্ডা মাথায় নিচু শটে গোল করেন। এই গোলের মাধ্যমে ফ্রান্সের জয়ের পথ আরও মসৃণ হয়ে যায়।
এমবাপ্পের এটাই ৫১তম আন্তর্জাতিক গোল। এর মাধ্যমে তিনি থিয়েরি অঁরির রেকর্ড ছুঁলেন। ফ্রান্সের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় এখন তিনি দ্বিতীয় স্থানে, শীর্ষে রয়েছেন অলিভিয়ে জিরু (৫৭ গোল)।