শীতে বালাপোশ তৈরি করে দিন বদলের স্বপ্ন দেখছেন ভরতপুরের পল্লিশ্রী গ্রামের লক্ষ্মীরা

পল্লিশ্রী গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষের বসবাস। ভোটার প্রায় ১,১০০। তার মধ্যে মহিলা প্রায় ৭০০।

January 13, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শীত থেকে রক্ষা পাওয়ার বালাপোশ বানিয়ে দিন বদলের স্বপ্ন বুনছেন ভরতপুর ১ ব্লকের পল্লিশ্রী গ্রামের মহিলারা। গ্রামের প্রায় ৯৫ শতাংশ মহিলা সংসারের কাজ সামলে প্রতি মাসে কয়েক হাজার টাকা উপার্জন করছেন কেবল বালাপোষ বানিয়ে। সেই টাকা জমিয়ে বড় কিছু করার স্বপ্নও দেখছেন তাঁরা।

পল্লিশ্রী গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষের বসবাস। ভোটার প্রায় ১,১০০। তার মধ্যে মহিলা প্রায় ৭০০। প্রায় সবাই কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। অনেকে ব্যবসাও করেন। সংসার সামলে স্বামীকে চাষের কাজ বা বাবলা নদীতে মাছ ধরায় সাহায্য করতে মহিলারা। বছর দুয়েক হল গ্রামের মহিলারা আরও একটি কাজে যুক্ত হয়েছেন। তাঁরা বালাপোশ তৈরি করছেন বছরভর। শীতের চারমাস মহিলাদের সময় থাকে না।

গ্রামে বালাপোশ তৈরি কুটির শিল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় প্রতিটি বাড়িতে মহিলারা বালাপোশ তৈরি করেন। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত মহিলারা এই কাজে ব্যস্ত থাকেন। এক একটি বালাপোশের মজুরি ৮০ টাকা। শীতকালের মতো বছরের অন্য সময়ে কাজের এতটা চাপ থাকে না। গ্রামের সব মেয়েরা এই কাজ করেন। সংসার সামলে কাজ করা হয়। রোজগার ও চাহিদা দুটোই রয়েছে।

জানা গিয়েছে, প্রায় তিনবছর হল গ্রামে এই ব্যবসা শুরু করেছেন দুই যুবক। তাঁরা একটি দোকান খুলে প্রথমে কয়েকজন মহিলাকে দিয়ে বালাপোশ তৈরি করাতেন। এখন ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রামের কয়েকজন যুবক মিলে মহাজনি ব্যবসা চালাচ্ছেন। গ্রামের প্রায় ৭০০ মহিলার মধ্যে সাড়ে ৬০০ মহিলা বালাপোশ তৈরি করছেন। কেউ কেউ মাসে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করছেন। প্রতিবেশী গ্রাম ছাড়াও মালদহ, বীরভূমে বালাপোশ রপ্তানি করা হচ্ছে। এক একটি বালাপোশ সাড়ে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়ে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen