গঙ্গায় ভাঙন সমশেরগঞ্জে, উদ্বেগে গ্রামবাসী

সোমবার হিলালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে ১৫টি পরিবার

July 14, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে গঙ্গা ভাঙন শুরু হয়েছে সমশেরগঞ্জে। রবিবার রাত থেকে সমশেরগঞ্জের নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতের কামালপুর, ধানঘরা, হিরানপুর, ধুসরিপাড়া এলাকায় শুরু হয়েছে ভাঙন। একটু একটু করে তলিয়ে গিয়েছে বেশকিছু ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট। গ্রামবাসীরা আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলে। তাঁদের অভিযোগ, এই প্রথম নয়, গত ১০ বছর ধরে এই এলাকায় ভাঙন হলেও প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। প্রতি বছর ভাঙন শুরু হলে কিছু বালির বস্তা ফেলে সান্ত্বনা দেওয়া হয়। ফি-বছর বর্ষার শুরুতে আতঙ্ক নিয়ে বাঁচতে হয় এলাকার মানুষদের।

এর আগেই ভাঙন শুরু হয়েছিল ফরাক্কায়। রবিবার থেকে শুরু হয়েছে সমশেরগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকায়। এ দিন রাতে কামালপুর, ধানঘরা, হিরানপুর গ্রামে বেশ কয়েকটি বাড়ি গঙ্গায় তলিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। তবে শুধু বাডি় নয়, তলিয়ে গিয়েছে কৃষিজমিও। আরও কিছু বাড়ি তলিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায়।

সোমবার হিলালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে ১৫টি পরিবার।

গ্রামবাসী গীতা সিংহ বলেন, ‘প্রতি বছরই গঙ্গা ভাঙন হলেও সরকারিভাবে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। শুধু বালির বস্তা ফেলে মন ভোলানো হয়। বোল্ডার ফেলে পাড় বাঁধানো হয় না। তার ফল আমাদের ভুগতে হচ্ছে।’ গ্রামবাসী দিলবার হোসেন বলেন, ‘সারা বছর কোন কাজ হয় না। ভাঙন দেখা দিলে বালির বস্তা আর বাঁশের খাঁচা দিয়ে ফেলা হলেও জলের তোড়ে তলিয়ে যায়।’ নিমতিতা পঞ্চায়েতের প্রধান সাগরি হালদারের স্বামী সুকুমার হালদার বলেন, ‘প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিছু ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। ওই পরিবারগুলোর পাশে আমরা আছি।’ এলাকার বিধায়ক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘স্থায়ীভাবে বোল্ডার দিয়ে বাঁধানো কাজ খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen