বাংলার দুগ্গা পুজো: বক্রেশ্বরে কষ্ঠিপাথরের ১৮ হাতের দুর্গা পুজোর ইতিকথা

বক্রেশ্বরের এই সতীপীঠে সারা বছরই ভক্তদের ঢল লেগে থাকে। আচার্যপাড়াতে উমা অষ্টাদশভূজা দেবী রূপে পূজিত হন।

October 13, 2023 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বক্রেশ্বরের কষ্ঠিপাথরের ১৮ হাতের দুর্গা পুজো বিশেষ রীতি মেনে হয়ে আসছে। প্রায় ৪০০- ৫০০ বছর আগে থেকে এই পুজোর সূচনা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এটি প্রাচীনতম দুর্গা বলে স্থানীয়দের কাছে পরিচিত। নিত্য পুজো হলেও নবমীর দিনে বলির পাশাপাশি বিশেষ ভোগ দেওয়া হয়। বক্রেশ্বরের এই সতীপীঠে সারা বছরই ভক্তদের ঢল লেগে থাকে। আচার্যপাড়াতে উমা অষ্টাদশভূজা দেবী রূপে পূজিত হন।

বীরভূম ইতিহাস থেকে জানা যায়, এই সতীপীঠস্থানে মহিষাসুরমর্দিনী ছিলেন দেবী ও বক্রনাথ ছিলেন ভৈরব। তবে সেই মন্দির ও মূর্তি কোনও কারণে ভেঙে যায়। কথিত আছে পরে সেবাইতদের পুকুর থেকে শীলামূর্তি পাওয়া যায়। এরপর তাঁরা দেবীকে প্রতিষ্ঠা করেন। স্থানীয়দের বিশ্বাস, পুজোর সময় দেবীর কাছে যা কিছু চাওয়া হয় তিনি তা পূরণ করেন। বক্রেশ্বরের বহু ভক্ত পুজোর ক’টা দিন এখানে ভিড় করেন। প্রত্যেকেই মায়ের পুজো দেন, যাতে প্রত্যেকের মনোস্কামনা পূরণ হয়।

কথিত আছে, বহু বছর আগে মাটির মন্দিরের কষ্টিপাথরের দুর্গাকে পুজো করা হতো। কিন্তু কোনও একসময় বিশাল বন্যার কারণে মন্দিরের সবকিছু ভেসে চলে যায়। সেই সঙ্গে মায়ের মূর্তিও। কিন্তু দুর্গাপুজো বন্ধ থাকে না। পরের বছর থেকেই মাটির একচালির মূর্তি করে দুর্গাপুজো শুরু হয়। এছাড়াও সতীপীঠ হিসাবে অধুনা বক্রেশ্বর মন্দিরে মাকে পুজো করা হয়ে আসছে। অনেককাল পর পুকুর থেকে কষ্টিপাথরের মায়ের মূর্তি উদ্ধার হয়। সেই মূর্তিকে ফের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন সেবাইতরা। বর্তমানে সেখানে মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই দুর্গা মাকে নিত্যদিন পুজো করা হয়। তবে প্রাচীন রীতি মেনে প্রতিবছর পৃথকভাবে একচালি মাটির দুর্গা তৈরি করে পুজোও চলে আসছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen