নক্ষত্রপতন, প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার মহম্মদ হাবিব

১৯৮৪ সালে মোহনবাগানের হয়ে খেলে অবসর নিয়েছিলেন তিনি।

August 15, 2023 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি : মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসের দিন হায়দরাবাদে নিজের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম বড় তারকা মহম্মদ হাবিব। বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।

ভারতীয় ফুটবলে ‘বড়ে মিঞা’ হিসেবে পরিচিত হাবিব। ছিলেন লড়াইয়ের প্রতীক। সেই লড়াকু মানসিকতা দিয়ে দলের ফুটবলারদের উদ্বুদ্ধ করতেন। তিন প্রধানে খেলা তারকা দীর্ঘদিন ধরেই স্নায়ুর রোগে ভুগছিলেন। তাঁর স্মৃতিশক্তি ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। কাউকে চিনতে পারছিলেন না। এমনকী হাঁটাচলা করার শক্তিও আস্তে আস্তে হারাচ্ছিল তাঁর। সেই সময় তাঁর পাশে দাঁড়ায় ইস্টবেঙ্গল। অসুস্থ হাবিবের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করেন লাল-হলুদ কর্তারা।

২০১৯ সালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। হায়দরাবাদে জন্ম হলেও তাঁর পুরো ফুটবল জীবনই কেটেছে কলকাতায়। মাত্র ১৭ বছর বয়সে ১৯৬৬ সালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তারপর প্রায় ১৮ বছর কখনও মোহনবাগান তো কখনও ইস্টবেঙ্গল আবার কখনও মহামেডানের জার্সিতে ময়দান কাঁপিয়েছেন। লাল-হলুদের জার্সিতে খেলেছেন ৮ বছর। গোল করেছিলেন ১১৩টি। ১৯৭০-’৭৪ মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলার সময় দীর্ঘ ১৯৩২ দিন জিততেই পারেনি মোহনবাগান। লিগ-শিল্ড-ডুরান্ড-রোভার্স-সহ সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে পাঁচ বছরে তাঁর ঝুলিতে এসেছিল মোট ১৩টি ট্রফি। লাল-হলুদের হয়ে ডার্বিতেও তাঁর পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। ১০টি গোল করেছিলেন তিনি। মোহনবাগানের জার্সিতে পেলের কমসম দলের বিরুদ্ধেও নেমেছিলেন মাঠে। খেলার আগে ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্যকে পেলের সঙ্গে হাত মেলাতে দেখে ধমক দিয়েছিলেন। বলেন, খেলার আগে শত্রুর সঙ্গে হাত মেলালে চলবে না। খেলা হবে মাঠে এমন নানা লড়াকু মানসিকতার স্মৃতি ছড়িয়ে পড়েছে ময়দানের আনাচে-কানাচে।

১৯৮৪ সালে মোহনবাগানের হয়ে খেলে অবসর নিয়েছিলেন তিনি। মোহনবাগানে ১৯৬৮ সালে খেলার সময় অমল মজুমদারের প্রশিক্ষণে খেলেছিলেন হাবিব।

দাপটের সঙ্গে দেশের জার্সিতেও খেলেছেন এই কিংবদন্তি স্ট্রাইকার। দীর্ঘ ১০ বছরে তাঁর হাত ধরে এসেছে বহু সাফল্য। ১৯৬৯ সালে বাংলার হয়ে সন্তোষ ট্রফি জেতেন তিনি। সেবার সর্বোচ্চ গোলদাতাও হয়েছিলেন। জোড়া হ্যাটট্রিক-সহ ১১টি গোল ছিল তাঁর ঝুলিতে। কোচিং জীবনেও একাধিক সাফল্য পেয়েছেন তিনি। টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমিতে কোচিং করিয়েছিলেন তিনি। ১৯৮০ সালে পেয়েছিলেন অর্জুন পুরস্কারও। এহেন কিংবদন্তিকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ ময়দান।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen