রাজ্যের অভিনব উদ্যোগ, চালু হচ্ছে ‘লাইব্রেরি অন বোট’
এবার গঙ্গার ফুরফুরে হাওয়া খেতে খেতে বই পড়ার সুযোগ করে দিচ্ছে তারা। মূলত শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের কথা ভেবেই এই উদ্যোগ। ২৭ তারিখ থেকে শহরে চালু হচ্ছে ‘লাইব্রেরি অন বোট’।

কোভিড পরিস্থিতি ঘরবন্দি শহরবাসী। করোনা আতঙ্কে কাটলেও সাহস করে শহররে বাইরে পা রাখতে পারছেন না অনেকেই। তাঁদের মনোরঞ্জন করতে তিলোত্তমাকেই নবরূপে সাজিয়ে তুলছে পরিবহণ নিগম। কখনও ট্রাম লাইব্রেরি তৈরি করছেন তো কখনও আবার ট্রাম ওয়ার্ল্ড। সব মিলিয়ে প্রিয়জনদের সঙ্গে ভাল সময় কাটানো সমস্ত রসদ সাজিয়ে দিচ্ছে পরিবহণ নিগম। এবার পর্যটক টানতে নয়া উদ্যোগ নিল পরিবহণ নিগম। এবার গঙ্গার ফুরফুরে হাওয়া খেতে খেতে বই পড়ার সুযোগ করে দিচ্ছে তারা। মূলত শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের কথা ভেবেই এই উদ্যোগ। ২৭ তারিখ থেকে শহরে চালু হচ্ছে ‘লাইব্রেরি অন বোট’।
ট্রাম লাইব্রেরি চালু হয়েছিল আগেই। সেই সাফল্যের কথা মাথায় রেখেই নয়া উদ্যোগ নিল পরিবহণ নিগম। অর্থাৎ ট্রামের পর এবার লঞ্চে বসেই সুযোগ মিলবে বই পড়ার। মূলত বাংলা ও ইংরেজি ভাষার শিশু ও কিশোর সাহিত্যের বই সাজানো থাকবে লঞ্চে। সঙ্গে থাকবে গান শোনা সুযোগ এবং মুখরোচক খাবারের ব্যবস্থাও। রয়েছে ফ্রি ওয়াইফাই। হাতের কাজ দিয়ে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে গোটা লঞ্চ। আর এই লঞ্চে চড়ার খরচও সাধারনের সাধ্যের মধ্যে।

পরিবহণ নিগমের তরফে জানানো হয়েছে, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের যাত্রীদের টিকিটের খরচ ১০০ টাকা। ১৮ বছরের নিচে সকলের টিকিটের দাম রাখা হয়েছে ৫০ টাকা। শিক্ষামূলক ভ্রমণের জন্য গোটা লঞ্চটি ভাড়াও নেওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে খরচ পড়বে ৪হাজার টাকা। সপ্তাহে সোম থেকে শুক্রবার পর্যন্ত দিনে তিনবার সুযোগ থাকছে এই লঞ্চে চড়ার। মিলেনিয়াম পার্ক থেকে প্রথম লঞ্চটি ছাড়বে বেলা ১১ টায়। এরপর দুপুর সোয়া একটা ও সাড়ে তিনটে নাগাদ পরের দুটি লঞ্চ ছাড়বে। পরিবহণ নিগমের তরফে জানানো হয়েছে, বছরভর সেই লঞ্চে একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। গল্প বলা, কবিতা পাঠের আসর-সহ একাধিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে লঞ্চে। তাহলে আর দেরি কেন, একদিন বাড়ির কচিকাঁচাদের নিয়ে ঘুরেই আসুন বোট লাইব্রেরিতে।