স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলেও রোগীকে ঘোরানো হলে লাইসেন্স বাতিল: মুখ্যমন্ত্রীর

, রাজ্যের একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা না দেওয়ার অভিযোগ বারবার উঠছে।

October 26, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও কোনও কোনও বেসরকারি হাসপাতাল মানুষকে হয়রান করছে, এরকম অভিযোগ উঠছে বেশ কিছুদিন ধরে। সোমবার উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গ তুলে স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তাদের প্রয়োজনীয় কড়া পদক্ষপে নিতে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, বহু মানুষ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে সুবিধা পাচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিহোম স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা দিচ্ছে না। আমার কাছেও এমন অভিযোগ এসেছে। আমি কিন্তু এসব বরদাস্ত করব না। কেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকার পরও রোগীকে ঘোরানো হবে? ওরা পরিষেবা দিতে বাধ্য। না হলে লাইসেন্স কেড়ে নেব। 
রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কারা এসব করছে, তা দেখতে বলুন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে গরিব, সাধারণ মানুষ যাতে চিকিৎসার সুযোগ সুবিধা পান, তা নিশ্চিত করতে হবে। যারা এসব মানছে না, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিন। প্রয়োজনে তাদের লাইসেন্স বাতিল করে দেব। 


প্রসঙ্গত, রাজ্যের একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা না দেওয়ার অভিযোগ বারবার উঠছে। কার্ড থাকা  সত্ত্বেও বলা হয়, এখানে স্বাস্থ্যসাথীর সুযোগ মিলবে না। কিংবা অজুহাত দেওয়া হয়, যে চিকিৎসা দরকার তা এখানে হয় না। এসব বলে বহু মানুষকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। শিলিগুড়ি শহরেও এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের কাছে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে গোটা রাজ্য সহ উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে স্বাস্থ্যসচিবকে সর্বশেষ পরিস্থিতির কথা জানাতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে কোভিড নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরা হয়। শিশুমৃত্যুর প্রসঙ্গ তুলে স্বাস্থ্যসচিব জানান, প্রতি বছর নানা রোগে শিশুমৃত্যুর যে হার থাকে, তেমনই আছে। পাশাপাশি তিনি এও জানান, অপরিণত শিশুর ক্ষেত্রে কিছু জটিল সমস্যা হয়ে থাকে। সেটা সর্বত্রই। তবে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার সাহায্য নিয়ে তার মোকাবিলা করা হচ্ছে। করোনার প্রসঙ্গ উঠতেই স্বাস্থ্যসচিব জানান, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে অবস্থা নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। তবে কোভিড বিধি মেনে চলার জন্য জেলাশাসক ও পুলিসকে কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে। তখনই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গে চা বাগান, জঙ্গল এলাকায় অনেক মশার উপদ্রব রয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরকে বলা হয়েছে, মশাবাহিত রোগ নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen