‘প্রথম নাগরিক’ প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জীবন ফুটে ওঠে সুমনের কলমে

বাবা প্রয়াত কামদা কিঙ্কর ভারতের এক বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী ও রাজ্য কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা ছিলেন।

August 31, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়। ভারতের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতির প্রয়াণে শোক দেশজুড়ে। দুঃখের এই আবহেই প্রাক্তন ‘প্রথম নাগরিক’ প্রণব মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণে ডুব দিল দৃষ্টিভঙ্গি। সাংবাদিক সুমন চট্টোপাধ্যায়ের লেখা বই ‘প্রথম নাগরিক’ –এর মাধ্যমে।

গত কয়েক দশকে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে খুব কাছ থেকে দেখেছেন সুমন চট্টোপাধ্যায়। কারিগর প্রকাশিত ‘প্রথম নাগরিক’–এর কেন্দ্র চরিত্র প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং সেই অনুষঙ্গে গত কয়েক দশকের রাজনৈতিক আবর্তনের আখ্যান – যেমন দেখেছেন লেখক। বইয়ের প্রচ্ছদে ওনার কার্টুন। নেহরুর মতোই ব্যঙ্গচিত্র সম্পর্কে সহনশীল প্রণববাবু। নিজের কোনো কার্টুন কত চিত্তাকর্ষক হয়েছে এ নিয়ে আলোচনাও বিশেষ পছন্দের তাঁর।

কীর্ণাহার থেকে রাইসিনা হিলের বিরাট জীবন কয়েকশো পাতায় ফুটিয়ে তোলা চ্যালেঞ্জই বটে। কিন্তু তা পারদর্শিতার সাথে করেছেন লেখক। ছোটবেলার স্কুলজীবন থেকে কলেজের ছাত্রজীবন। রাজনীতিতে হাতে খড়ি, অজয় মুখোপাধ্যায়ের সান্নিধ্যে নতুন দলে যোগদান। সব প্রসঙ্গ এসেছে এই বইয়ের লেখায়। প্রণব ছিলেন ধীর, স্থির, মিতবাক। ষাটের দশকের মধ্যভাগে মেদিনীপুরের আগস্ট আন্দোলনের নেতা অজয় মুখোপাধ্যায় দল ত্যাগ করে নতুন দল বাংলা কংগ্রেস গঠন করলে শুরুতেই প্রণববাবু তাঁর সঙ্গে যোগ দেন। কিছুদিনের মধ্যে তিনি হয়ে ওঠেন বাংলা কংগ্রেসের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। এমনকি ওই বাংলা কংগ্রেসের সংবিধানের খসড়াও লিখেছিলেন সেদিনের নবীন প্রণব মুখোপাধ্যায়।

বাবা প্রয়াত কামদা কিঙ্কর ভারতের এক বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী ও রাজ্য কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা ছিলেন। সম্ভবত এই গান্ধীবাদী নেতার প্রভাব প্রণববাবুর উপর ছিল। অর্থাৎ রাজনীতি তাঁর রক্তে ছিল। ১৯৬৯ সালে অজয় মুখার্জি তাঁকে বাংলা কংগ্রেস এর সদস্য হিসাবে রাজ্যসভায় পাঠান। তারপর প্রণববাবু আর কখনই পিছনের দিকে তাকান নি। সুদীর্ঘ যাত্রাপথ। যেন স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের ইতিহাসের খণ্ডচিত্র ওনার জীবন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen