Lionel Messi: কলকাতায় মেসি’র আগমন ফের প্রমান করছে, এখনও “সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল”!

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:৫৪: ক্রীড়াপ্রেমীদের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর কলকাতায় পা রাখতে চলেছেন লিওনেল মেসি। শুক্রবার ভোররাতে কলকাতা বিমানবন্দরে নামবেন তিনি। স্বাগত জানাতে আগে থেকেই তৈরি সমর্থকেরা। সেলেব্রিটি ম্যাচ। তাবড় রাজনীতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎকার। মাঠে নেমে স্রেফ জালগিং নয়, প্রীতিম্যাচে গা ঘামানো, মূর্তি উন্মোচনের সাক্ষী থাকা, লিওনেল মেসিকে (Lionel Messi) নিয়ে আয়োজকদের দিস্তা দিস্তা পরিকল্পনা!
এই নিয়ে দ্বিতীয় বার কলকাতায়। ইতিমধ্যে শহরে তাঁর একটি ৭০ ফুট লম্বা মূর্তি তৈরি করা হয়েছে বিধায়ক সুজিত বসুর তত্ত্বাবধানে। এর আগে যে বার শহরে আসেন মেসি, তখন ভেনেজুয়েলার সঙ্গে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলেন ফুটবলতারকা। এবার যখন লিও ভারতে আসছেন, তখন তাঁর ব্যস্ত সূচি। চার শহর— কলকাতা, হায়দরাবাদ, মুম্বই ও দিল্লি মিলিয়ে ‘গোট ট্যুরে’র উন্মাদনা তুঙ্গে। এদিকে, ততটাই আঁধারে দেশের শীর্ষ ফুটবল লিগ আইএসএল (ISL)।
আইএসএলের আগামী মরসুম কবে থেকে শুরু হবে, বা আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। এই পরিস্থিতিতে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে প্রস্তাব দিয়েছিল দেশের ১২টি ক্লাব। সেই প্রস্তাবে প্রাথমিক ভাবে রাজি হয়েছে ফেডারেশন। ক্লাবগুলির সঙ্গে মিলে যৌথ ভাবে আইএসএল আয়োজন করতে চায় তারা।
মেসি-সফরের সূচনা যেখানে, সেই কলকাতাই হতে চলেছে গণ-উন্মাদনার এপিসেন্টার! বিলয় না হলেও সৃষ্টি এখানে। তীব্রতাও, অবধারিতভাবে, হতে চলেছে সর্বোচ্চ!
তবে সব শহর মেসির সফরের গন্তব্য হতে পারে, কিন্তু কলকাতা উপস্থিতির আলাদা অর্থস্তর তৈরি করে। বাকি তিন জায়গায় জমকালো কর্পোরেট আয়োজন, কলকাতায় নিখাদ আবেগ! ফুটবল এখানে স্রেফ খেলা নয়, সাংস্কৃতিক পরিচয়! ১৯১১-এর ইস্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্টের বিরুদ্ধে মোহনবাগানের ঐতিহাসিক জয়—দেশীয় ফুটবলের প্রথম মহাকাব্য—যে শহরের রাস্তাঘাটে, আড্ডায়, চায়ের দোকানে, স্কুলের বেঞ্চে প্রজন্ম ধরে গল্প হয়ে বেঁচে, সেখানে মেসিকে নিয়ে উন্মাদনা হওয়ারই কথা!
এই কারণে শুধু মেসি নন, পেলে, মারাদোনা, অলিভার কান, লোথার ম্যাথাউস, এমিলিয়ানো মার্টিনেস—যে তারকারাই ভারতে নেমেছেন, তাঁরা জার্নি পয়েন্ট হিসেবে শুরুতেই বেছে নিয়েছেন কলকাতাকে। ভাষা বদলেছে। মুখ বদলেছে। কিন্তু বক্তব্য পাল্টায়নি। বারবার সমস্বরে জানিয়েছেন, এই শহর বুঝতে পারে, চিনতে পারে, ফুটবলের স্পন্দন অনুভব করতে পারে!
মেসি নিজেও ২০১১ সালে গণ-উন্মাদনার স্বাদ পেয়েছেন। আর্জেন্তিনা–ভেনেজুয়েলা ম্যাচে সল্টলেকের গর্জনে স্পন্দিত হয়েছিল কলকাতার আকাশ-বাতাস। এত বছর পরে ফিরে আসা তাই শুধু কেতাদুরস্ত অনুষ্ঠান নয়—অনুষ্ঠানিক পুনর্মিলনও বটে।