লিচুর ব্যাপক ফলনের আশায় মালদহের উৎপাদকরা
করোনার আবহের মধ্যেই আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মালদহে এবছর রেকর্ড লিচু ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এবারের ফলন ২০১৩ সালের রেকর্ডও ভেঙে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাগানগুলিতে ফলনের যে গতিপ্রকৃতি তাতে চাষিদের আশাবাদী হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে জনিয়েছেন মালদহের কৃষি বিশেষজ্ঞরা।
করোনার আবহের মধ্যেই আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মালদহে এবছর রেকর্ড লিচু ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এবারের ফলন ২০১৩ সালের রেকর্ডও ভেঙে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাগানগুলিতে ফলনের যে গতিপ্রকৃতি তাতে চাষিদের আশাবাদী হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে জনিয়েছেন মালদহের কৃষি বিশেষজ্ঞরা।

মালদহের লিচুর বাগান গুলিতে যে পরিমাণে মুকুল ফুটে গুটি ধরেছে তাতে প্রকৃত ফলন উদ্যানপালন দপ্তরের লিচু ফলন নিয়ে অনুমানকেও ছাপিয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেই লিচুর ব্যাপক ফলনের সম্ভাবনা উঠে আসায় জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের কর্তারা আশার আলো দেখছেন। মালদহের বেশ কয়েকটি ব্লকে বাণিজ্যিকভাবে লিচু উৎপাদন হচ্ছে। ফলে ভালো ফলন হলে স্বাভাবিকভাবেই বেশি লাভের মুখ দেখতে পাবেন উৎপাদকরা। তাই লিচু উৎপাদক মহলে খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে।
গত ২০১৩ সালে এক হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ করা হয়েছিল। সেবার প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার মেট্রিক টন লিচু উৎপাদন হয়েছিল। এবার সেই ফলন ছাপিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান অনুযায়ী, এবার ১৪ থেকে ১৫ হাজার মেট্রিক টন লিচু ফলনের সম্ভাবনা উঠে এসেছে। তবে মূল বাজার হচ্ছে জামাই ষষ্ঠী। এখন যেভাবে করোনা পরিস্থিতি এগোচ্ছে, তাতে সেসময় বাজারে ক্রেতা মিলবে কি না এনিয়ে অনেকে সংশয়ে রয়েছেন। ফলন ভালো হলেও বাজার নিয়ে লোকসানের সম্ভাবনা রয়েছে।