বিশ্বে এই প্রথম! কলকাতায় বসতে চলেছে মিষ্টি নিয়ে সাহিত্য উৎসবের আসর

তিতোতে শুরু হয়ে মিষ্টিমুখেই শেষ, বাঙালির খাবার সবচেয়ে ব্যালেন্সড ডায়েটের উদাহরণ

June 24, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

তিতোতে শুরু হয়ে মিষ্টিমুখেই শেষ, বাঙালির খাবার সবচেয়ে ব্যালেন্সড ডায়েটের উদাহরণ। বাংলা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছেও নানান মিষ্টির ইতিহাস। কলকাতায় বাংলার মিষ্টি নিয়ে বিশ্বে এই প্রথম ‘লিটারেচার ফেস্টিভ্যাল’ আয়োজিত হতে চলেছে। সাহিত্য উৎসবের আয়োজন করেছে কলকাতার এক বিখ্যাত মিষ্টি বিক্রেতা সংস্থা। ৯ থেকে ১১ ডিসেম্বর, তিনদিন ধরে চলবে এই উৎসব। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলার ঐতিহ্যশালী মিষ্টিগুলোর কথা আলোচিত হবে। বাহারি মিষ্টি থেকে শুরু করে বাংলার বিভিন্ন জায়গার বিখ্যাত সব মিষ্টির গল্প, মিষ্টির ইতিহাস; সবকিছু নিয়েই বিস্তারিত আলোচনার আসর বসবে।

বাংলার মিষ্টির ইতিহাস কয়েকশো বছরের প্রাচীন। পর্তুগিজদের হাত ধরে মিষ্টি তৈরির উপাদান ছানার প্রচলন হয়। ডিসেম্বরের ‘লিট ফেস্ট’ মিষ্টির সেই সব গল্পগুলো নিয়েই আলোচনা হবে। এই সাহিত্যসভায় ইতিহাসবিদ, খাদ্যপ্রেমী, সিনেমা ও থিয়েটার জগতের বিশিষ্টদের সমাগম হবে বলেই জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, এই উৎসবে ৬০টিরও বেশি প্রকারের মিষ্টি পরিবেশন করা হবে। এ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা লহনা ঘোষের মস্তিষ্কপ্রসূত। ৩০ বছর বয়সী লহনা বাংলার মিষ্টিকে ভালবেসে বিদেশের চাকরি ছেড়ে কলকাতায় ফিরে আসেন। লহনা বাংলার মহিলাদের নিয়ে মিষ্টি তৈরির রান্নাঘর বানিয়েছেন। কলকাতার শতাব্দী প্রাচীন মিষ্টির দোকান যুগলসের কর্ণধার যুগলকিশোর ঘোষের নাতনি লহনার ঘোষ। মিষ্টিকে নিয়ে আলোচনায় বিভিন্ন লোককাহিনি, চলচ্চিত্র, গল্প, বই ইত্যাদি উঠে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

লহনা ঘোষের মতে, এটি মিষ্টি নিয়ে বিশ্বের প্রথম সাহিত্য উৎসব তো বটেই, খাবার নিয়েও এটি প্রথম সাহিত্য উৎসব। তাঁর কথায়, খাবারই পারে বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তুলতে। শেফ আসমা সাইদ খান, পাকিস্তান, চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রাষ্ট্রদূত; ভারতের একমাত্র মহিলা পররাষ্ট্র সচিব নিরুপমা রাও, খাদ্যবিদ এবং কানাডিয়ান লেখক ডক্টর কলিন টেলর সেন, ইতিহাসবিদ পুষ্পেশ পান্তসহ বিশ্বের তাবড় তাবড় তারকাদের মিলনক্ষেত্রে হয়ে উঠতে চলেছে এই উৎসব। উৎসবে আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর কুনাল বসু, সুইডেনে ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যালের প্রতিষ্ঠাতা সঞ্জু মালহোত্রা, প্রাক্তন সাংসদ শিল্পী যোগেন চৌধুরী, সাংসদ জওহর সরকার প্রমুখ।

উৎসবের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ঐন্দ্রিলা রায় কাপুরের কথায়, শিল্প, সাহিত্য, সিনেমা অথবা থিয়েটার, তিনি এই উৎসবে ঐতিহ্যের কলকাতাকে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। এই অভিনব উৎসবের অন্যতম একজন পরিচালক হলেন বিশ্ববিখ্যাত ফটোগ্রাফার ও সংবাদকর্মী কৌন্তেয়া সিনহা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen