‘লোডশেডিং অধিকারী’: শুভেন্দুকে নির্বাচনী সততার পাঠ দিলো তৃণমূল

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২.৪৫: ‘লোডশেডিং অধিকারী’ শুভেন্দু আবার নির্বাচনী সততা নিয়ে বক্তৃতা দিচ্ছেন! এহেন বিদ্রূপাত্মক মন্তব্য করে বিজেপিকে নির্বাচনী সততার পাঠ দিলো তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধী দলনেতার সাম্প্রতিক মন্তব্যের জবাবে তৃণমূল কংগ্রেসের এক্স পোস্টে উঠে এলো বিজেপির নির্বাচনী সততার আসল চিত্র।
পোস্টে বলা হয়েছে, শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এক ব্লক লেভেল অফিসারের (BLO) পরিচয় নিয়ে হইচই করে নির্বাচনী সততার রক্ষাকর্তা সাজতে চাইছেন। এটাই নাকি বিজেপির ভণ্ডামির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, বিজেপি এমন এক দল, যারা প্রশাসন থেকে বিচারব্যবস্থা, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকেই নিজেদের রাজনৈতিক কর্মশালায় পরিণত করেছে, অথচ মুখে সততার বুলি আওড়ায়।
তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, অসমের রাজ্যপাল গুলাবচাঁদ কাটারিয়া (Gulabchand Kataria) রাজস্থানে বিজেপির নির্বাচনী সভায় উপস্থিত ছিলেন, মধ্যপ্রদেশের সাতনায় জেলা শাসক ও পৌর কমিশনার ভোটের ঠিক আগে আরএসএসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন, কর্ণাটকের পঞ্চায়েত আধিকারিক প্রবীণ কুমার কেপি আরএসএসের (RSS) শতবর্ষ উদযাপনে গেরুয়া পোশাক পরে অংশ নিয়েছিলেন, এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর কুমার যাদব বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেছিলেন এবং প্রাক্তন বিজেপি মুখপাত্র আরতি অরুণ সাথেকে বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এইসব ঘটনা বিজেপির তথাকথিত নৈতিকতার আসল চেহারা উন্মোচন করে।
তৃণমূল কংগ্রেসের কটাক্ষ, শুভেন্দু অধিকারীর যুক্তি অনুযায়ী যদি সত্যিই সততার প্রশ্ন ওঠে, তবে রাষ্ট্রপতির অবিলম্বে এমন সমস্ত সাংবিধানিক পদ থেকে বিজেপি-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের অপসারণ করা উচিত। কিন্তু বাস্তবে তা হবে না, কারণ বিজেপির রাজনৈতিক মতবাদই হল ভণ্ডামি ও দ্বিচারিতা।
শেষে তৃণমূলের মন্তব্য, বিজেপি নীতিশিক্ষা দেওয়ার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। বিজেপি বারবার প্রমাণ করেছে যে তারা নির্বাচনী সততা নয়, ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রতীক।