সুদিন ফেরার আশায় দিন গুনছেন শহরের ট্যাক্সি ও অটোচালকরা

গত সপ্তাহেই আরও ১৯ দিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে লকডাউন। টানা এতদিন ধরে লকডাউন জারি থাকায় রাস্তা থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে অটো। রাস্তায় না বেরোতে পেরে চিন্তায় শহরের অটোচালকরা। কলকাতাতেই ১৬৫টি রুটে ৩৫ হাজারের বেশী অটো চলে। অথচ হাজার হাজার অটো চালক এখন কার্যত বেকার। কীভাবে সংসার চলবে তা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে অটোচালকদের।

April 19, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

গত সপ্তাহেই আরও ১৯ দিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে লকডাউন। টানা এতদিন ধরে লকডাউন জারি থাকায় রাস্তা থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে অটো। রাস্তায় না বেরোতে পেরে চিন্তায় শহরের অটোচালকরা। কলকাতাতেই ১৬৫টি রুটে ৩৫ হাজারের বেশী অটো চলে। অথচ হাজার হাজার অটো চালক এখন কার্যত বেকার। কীভাবে সংসার চলবে তা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে অটোচালকদের।

কলকাতা শহর ও শহরতলিতে মোট ১২৫টি রুটে সবমিলিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার অটো চলে। প্রতিদিন অটোচালকদের গড় রোজগার তিনশো থেকে চারশো টাকা। মাসিক বেতন না থাকলেও মাসের শেষে সবমিলিয়ে নয় থেকে দশ হাজার টাকা রোজগার করেন অটোচালকরা। কিন্তু, গত ২৩ মার্চ থেকে লকডাউন। ফলে, রাস্তায় অটো না বেরনোয় মাসের শেষে পকেট ফাঁকা অটোচালকদের।

তেমনই অটোর পাশাপাশি শহরের রাস্তায় চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে অতি পরিচিত হলুদ ট্যাক্সি। এখন কলকাতায় চলাচল করে ৫০০০ হলুদ ট্যাক্সি। নীল-সাদা ট্যাক্সি আছে প্রায় ৩০০০ সংখ্যায়। কবে আবার রাস্তায় গাড়ি নামানো যাবে? এই আশায় রোজ দিন গোনেন ট্যাক্সি ড্রাইভাররা।

শহর কলকাতার রাস্তায় চোখে পড়বে একের পর এক হলুদ, নীল-সাদা ট্যাক্সি সার দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বিভিন্ন গলিতে দাঁড়িয়ে আছে নানা সংস্থার অ্যাপ ক্যাব। ধুলো জমেছে গাড়িতে। গাড়িতে পুজো হয়নি অনেকদিন। কারণ একটাই, লকডাউন চলছে। আর এতেই চরম বিপাকে পড়েছেন ট্যাক্সি চালকরাও।

তেমনই এক ট্যাক্সি চালক প্রদীপ সিং জানাচ্ছেন, ‘রোজ সকালে খোঁজ করি, কোথায় কোথায় ত্রাণ পাওয়া যেতে পারে। অধিকাংশ সময় হাসপাতালের সামনে চলে যাই। সেখানে খাবার পেয়ে যাই বা ত্রাণের জিনিস পেয়ে যাই। গাড়িতেই রান্না করে নিচ্ছি। আশা করছি যদি একটা যাত্রী পেয়ে যাই।’ যদিও সেই আশায় জল ঢেলে দিচ্ছে ভাগ্য। এই ২৫ দিনে মেলেনি কোনও যাত্রীই। সকাল থেকে রাত অবধি হতাশ হয়েই ঘরে ফিরতে হয় ট্যাক্সি চালক প্রদীপকে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen