শিবের মাথায় জল ঢেলে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করলেন সায়নী, জিতে এলাকার মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস

তৃণমূলের পতাকা হাতে দেখে চলচ্চিত্র জগতে তাঁর অনেক সতীর্থরা অনেকটাই অবাক হয়ে যান। সেই শুরু! ‘ঠোঁটকাটা’ সায়নীর ঘাস ফুলে উত্থান আর আটকানো যায়নি।

March 12, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
জিতে এলাকার মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। হুগলি জেলায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি সভায় হঠাৎ দেখা যায় তাঁকে। তৃণমূলের পতাকা হাতে দেখে চলচ্চিত্র জগতে তাঁর অনেক সতীর্থরা অনেকটাই অবাক হয়ে যান। সেই শুরু! ‘ঠোঁটকাটা’ সায়নীর ঘাস ফুলে উত্থান আর আটকানো যায়নি। প্রথমে বিধানসভা, এরপর লোকসভায় ফের তাঁর উপর হাইভোল্টেজ আসন ‘যাদবপুর’ (Jadavpur) জিতে আসার দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূল (TMC)।

পায়ে পায়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন সায়নী। শিবের মাথায় জল ঢেলে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করলেন সায়নী। নাম ঘোষণার পর প্রচারে আর দেরি করতে রাজি নন তৃণমূলের এই যুব সভানেত্রী। সোমবার সকালে বারুইপুরে প্রচার সারেন তিনি। দক্ষিণ কলকাতার বাড়ি থেকে বেরনোর সময় স্থানীয় মন্দিরে পুজো দেন। নিজের সামাজিক মাধ্যমে সেই ভিডিও পোস্ট করেছেন খোদ সায়নী-ই। ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, এলাকার মন্দিরে শিবের মাথায় জল ঢেলে, অন্য়ান্য বিগ্রহের পায়ে ফুল দিচ্ছেন সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। ভিডিও-র ক্যাপশনে লেখা- ‘সকালে পাড়ার মন্দিরে পুজো দিয়ে দিনের শুরু এবং পাড়ার সকলের আশীর্বাদ ও স্বতঃস্ফূর্ত ভালোবাসা পেয়ে আমি অভিভূত…’।

যাদবপুর কখনওই তার সাংসদকে পাশে পায় না, এই অভিযোগ নতুন নয়। এবার সেই ‘মিথ’ ভাঙতে চাইছেন তৃণমূলের যুবনেত্রী। দলীয় কর্মীদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, জিতলে এলাকার মানুষের পাশেই থাকবেন। এদিন বারুইপুর পূর্ব বিধানসভা এলাকায় প্রস্তুতি সভার আয়োজন করেছিলেন বিধায়ক বিভাস সর্দার। সেখানে প্রার্থীকে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন তিনি। এরপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জানালেন সায়নী।

অভিনেত্রী হওয়ায় গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়ানোর মানসিকতা যে তাঁর নেই, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন প্রার্থী। তিনি বলেন, অনেকেই ভাবতে পারেন, অভিনেত্রী হওয়ায় গায়ে হাওয়া লাগিয়ে হয়তো ঘুরে বেড়াব। আমি সেই ধারণা বদলাতে এসেছি। তিন বছর রাজনীতি করছি। এই সময় তিনটি ছবি এবং সাড়ে তিনশো সভা করেছি। এই লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে যে সাতটি বিধানসভা রয়েছে, তার মধ্যে ছ’টি তৃণমূলের (TMC) দখলে। একমাত্র ভাঙড় রয়েছে আইএসএফের হাতে। সেখানে প্রচারের প্রশ্ন উঠতেই সায়নী বলেন, সংখ্যালঘুদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক উন্নয়ন করেছেন। তার ভিত্তিতেই মানুষ ভোট দেবেন তৃণমূলকে। এদিন প্রস্তুতি সভার পর জনসংযোগ, দেওয়াল লিখন এবং চম্পাহাটি অঞ্চলে একপ্রস্থ প্রচার সারেন সায়নী।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen