ভোটের রায়ে প্রতিফলিত হয়েছে ভারত হিন্দু রাষ্ট্র নয় – মত নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের
এবার ফের একবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মোদী সরকারের সমালোচক হিসাবে বারবার আক্রমণের নিশানা হয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। এবার ফের একবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি। তাঁর মতে, ভারত যে হিন্দু রাষ্ট্র নয়, সেটা ভোটের রায়ে প্রতিফলিত হয়েছে। এবারের লোকসভা ভোটের রায়ে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করার প্রচেষ্টা কিছুটা আটকানো গিয়েছে।
প্রতি বছর আলোচনা সভার আয়োজন করে প্রতীচী ট্রাস্ট। আলোচনার বিষয় ছিল, ‘কেন স্কুলে যাই: সহযোগিতার সহজ পাঠ’। শনিবার বোলপুরে জামবুনির এক বেসরকারি ভবনে আলোচনা সভার অন্যতম বক্তা ও শ্রোতা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। প্রতীচী ট্রাস্টের মানবী মজুমদার, সৌমিক মুখোপাধ্যায়, অর্থনীতিবিদ জঁ দ্রেজ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
অমর্ত্য সেন বলেন, এখন সর্বত্র আলোচনার বিষয়বস্তু ভারতকে কী করে হিন্দু রাষ্ট্র করা যায়? জানা দরকার, স্কুলের কচিকাঁচাদের কাছে হিন্দু-মুসলিমের কোনও পার্থক্য নেই। দেশে লোকসভা নির্বাচনে ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র করার প্রচেষ্টা থেকে আটকানো গেল। লোকসভা নির্বাচনে ভারতবর্ষকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার প্রচেষ্টা দেখানো হয়েছে। তবে ভারতবর্ষ যে হিন্দু রাষ্ট্র নয়, তার প্রতিফলন ঘটেছে নির্বাচনে। যা মানতে পারেননি অনেকেই। ওরা মানতে পারল না যে, যেখানে বড় মন্দির তৈরি হল, সেখানে এক জন ধর্মনিরপেক্ষ দলের প্রার্থী, হিন্দুরাষ্ট্র গড়ার দাবি তোলা প্রার্থীকে হারিয়ে দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, “ধর্মের নামে ভারতে এখন বিভাজন বাড়ছে। জোর করে বুলি আওড়ানোর চেষ্টা, মারধরের রাজনীতি চলছে। এমন পরিস্থিতিতে এখন দেশে প্রয়োজন মানবাধিকার শিক্ষার। শিক্ষা ব্যবস্থার প্রধান অন্য দিক হওয়া উচিত। ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা মোকাবিলায় মানবাধিকার শিক্ষার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।” ন্যায় সংহিতা কার্যকর করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “একটা সংবিধান বদলাতে গেলে যে পরিমাণ আলোচনা দরকার, তার প্রমান চোখে পড়েনি।” নয়া শিক্ষানীতি নিয়েও আক্ষেপ করেন তিনি।