লুইস সুয়ারেজের বিতর্কিত আচরণে বড় শাস্তি, লিগস কাপ থেকে ৬ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা
এই বিশৃঙ্খলার সময় সুয়ারেজকে সিয়াটলের এক কোচিং স্টাফের দিকে থুতু ফেলতে দেখা যায়,যা গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:৩৯: ইন্টার মিয়ামির তারকা ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেজকে লিগস কাপের আয়োজক কমিটি বড় শাস্তি দিলো। গত ১ সেপ্টেম্বর সিয়াটল সাউন্ডার্সের বিরুদ্ধে ফাইনালে ঘটে যাওয়া কাণ্ডের জেরে তাকে টুর্নামেন্ট থেকে ৬ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ম্যাচ শেষে দুই দলের খেলোয়াড় ও স্টাফদের মধ্যে বড় ধরনের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই বিশৃঙ্খলার সময় সুয়ারেজকে সিয়াটলের এক কোচিং স্টাফের দিকে থুতু ফেলতে দেখা যায়,যা গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়েছে।
ফাইনালে ইন্টার মিয়ামিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় সিয়াটল সাউন্ডার্স। ম্যাচ শেষে উত্তেজনার চরমে পৌঁছায় দুই দল। সুয়ারেজ ছাড়াও, ইন্টার মিয়ামির আরেক তারকা সার্জিও বুসকেটসকে এক প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে ঘুষি মারার অপরাধে ২ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ডিফেন্ডার টমাস আভিলেসকে ৩ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অপরদিকে, সাউন্ডার্সের সহকারী কোচ স্টিভেন লেনহার্টকেও ৫ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তাঁর বিশৃঙ্খল আচরণের কারণে।
তবে এই সমস্ত শাস্তি শুধুমাত্র ভবিষ্যতের লিগস কাপ ম্যাচের জন্য কার্যকর হবে। তবে মেজর লিগ সকার(MLS) কর্তৃপক্ষ চাইলে আলাদা শাস্তি দিতে পারে বলে জানিয়েছে। ইন্টার মিয়ামি আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর ঘরের মাঠে সাউন্ডার্সের মুখোমুখি হবে, তবে এমএলএসের সিদ্ধান্ত এখনো স্পষ্ট নয়।
ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যমে এক দীর্ঘ পোস্টে সুয়ারেজ তার আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি লিখেছেন, “ম্যাচ শেষে উত্তেজনা ও হতাশার মুহূর্তে কিছু ঘটনা ঘটে যা কখনোই ঘটানো উচিত নয়। আমার প্রতিক্রিয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। আমি ভুল করেছি এবং আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি। আমার পরিবার, আমার ক্লাব ও ভক্তদের আমি কষ্ট দিতে চাইনি। বাকি মরশুমে আমরা সবাই একসঙ্গে পরিশ্রম করব, যাতে ক্লাবকে সাফল্য এনে দিতে পারি।”*
৩৮ বছর বয়সী উরুগুইয়ান তারকা সুয়ারেজের মাঠে বিতর্কিত আচরণের ইতিহাস রয়েছে। এর আগে তিনি তিনবার প্রতিপক্ষকে কামড়ানোর জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন এবং একবার জাতিগত বৈষম্যমূলক মন্তব্যের অভিযোগে শাস্তি পান, যদিও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।
ইন্টার মিয়ামির দর্শকরা এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, এমএলএস কর্তৃপক্ষ আর কোনও শাস্তি ঘোষণা করে কি না তা দেখার জন্য।