আজ থেকে বাংলাজুড়ে ১১ বছরের সাফল্য উদযাপন করবে মা-মাটি-মানুষ সরকার
বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ২০১১ সালে বাংলায় ‘মা-মাটি-মানুষের’ সরকার গড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Authored By:

বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ২০১১ সালে বাংলায় ‘মা-মাটি-মানুষের’ সরকার গড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১১ বছরে রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে একাধিক পরিষেবা নিশ্চিত করেছে তাঁর সরকার। রাজ্যের তরফে নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে একেবারে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত মানুষের কাছে সুবিধা পৌঁছে দিয়েছে তাঁর সরকার। আজ বৃহস্পতিবার তারই সাফ্যলের অনুষ্ঠান—‘উন্নয়নের পথে ১১ বছর’ শুরু হচ্ছে প্রতিটি জেলায়। আর একই দিনে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে রাজ্যের ২০ লক্ষ মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় আনছেন দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী।
ইতিমধ্যে প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে সরাসরি টাকা পাঠাছে রাজ্য। ২০২১-এ তৃতীয় সরকার গড়ে মহিলাদের সশক্তিকরণের লক্ষ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেন মমতা। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জেতার চারমাসের মধ্যেই, ১ কোটি ৫৩ লক্ষাধিক মহিলাকে আনা হয় এই প্রকল্পের অধীনে। তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতির উপভোক্তারা প্রতিমাসে পান ১০০০ টাকা ও অন্য মহিলারা ৫০০ টাকা। আজ প্রায় ২০ লক্ষ মহিলাকে আনা হচ্ছে এই প্রকল্পের আওতায়। এইদিনেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র প্রদানের অনলাইন পরিষেবা—‘জন্ম-মৃত্যু তথ্য’।
বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী যোগ দেবেন দুপুর ১টায়। এবং, এখান থেকেই ‘উন্নয়নের পথে ১১ বছর’ অনুষ্ঠান নিয়েও বার্তা দিতে পারেন বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহল। ইউনেস্কোর স্বীকৃতিকে সামনে রেখে দুর্গাপুজো উদযাপন নিয়েও বার্তা দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। ১১ বছরের পরিষেবা প্রদানের সাফল্যের অনুষ্ঠান চলবে ২০ মে পর্যন্ত। একই সময় পর্যন্ত চলবে পাড়ায় সমাধানও। আর দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আবেদন জমা নেওয়া হবে ২১-৩১ মে। ‘উন্নয়নের পথে ১১ বছর’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিটি ব্লক স্তরে পৌঁছে দেওয়া হবে বিভিন্ন সাফল্যের কথা। ট্যাবলো, ব্যানার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে কৃষকবন্ধু, বাংলা শস্যবিমা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, বাংলা সহায়তা কেন্দ্র-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের সাফল্যের কথা। প্রসঙ্গত, এক-একটি প্রকল্পের কথা তুলে ধরতে প্রতিটি জেলায় একই ডিজাইনের ব্যানার লাগানো হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে সেই ডিজাইন পাঠানো হয়েছে জেলাকে।