মহারাষ্ট্রে সংকটে জোট সরকার

May 27, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

ভারতে করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলির তালিকায় শীর্ষে মহারাষ্ট্র। রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। আর এই মারণ ভাইরাসের বলি হয়েছেন কমপক্ষে ১,৬৯৫ জন। আর এই করোনা পরিস্থিতির দায় নিয়ে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যের শাসক জোটের অন্দরে। যা সামগ্রিকভাবে মারাঠাভূমের এনসিপি-শিবসেনা-কংগ্রেস জোট সরকারের ভবিষ্যৎকে প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বলে রাজ্য রাজনীতির অলিন্দে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধীর মঙ্গলবারের একটি মন্তব্য় মহারাষ্ট্রের শাসক জোটের জট আরও প্রকট করে তুলেছে। রাজ্যে করোনা মহামারি মোকাবিলায় সরকারি ব্যর্থতার দায়ভার দলের কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলে দিয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর সাফ কথা, রাজ্যে জোট সরকারে কেবলমাত্র সহযোগীর ভূমিকায় আছে কংগ্রেস। সরকারে নীতি নির্ধারণে তাদের কোনও ভূমিকা নেই।

এই পরিস্থিতিতে বসে নেই বিজেপি। ‘ঘোলা জলে মাছ ধরতে’ সরকার ফেলার জন্য তলে তলে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। পদ্ম শিবিরের নেতারা অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। যেভাবে উদ্ধভ ঠাকরের নেতৃত্বাধীন সরকারের সংকটের বিষয়টি মানতে রাজি নন শরিক নেতারা।

মহারাষ্ট্রে শিবসেনার নেতৃত্বাধীন শাসক মহা বিকাশ অগধি-তে (MVA) টানাপোড়েন এবং সরকারের অস্তিত্ব বিপন্নতা নিয়ে কানাঘুষোর মধ্যেই ফের সক্রিয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন ‘চাণক্য’ শরদ পাওয়ার। সোমবার মাতোশ্রী-তে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধভ ঠাকরের সঙ্গে বৈঠক করেন এনসিপি সুপ্রিমো। তার আগে রাজভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন রাজ্যপাল বিএস কোশিয়ারির সঙ্গে।

সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাওয়ার বলেন, কোভিডের হুমকি মোকাবিলায় এনসিপি, শিবসেনা এবং কংগ্রেস কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করছে। সরকারের অভ্যন্তরে এ নিয়ে দ্বন্দ্বের বিষয়টি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন তিনি। এর রেশ ধরেই আক্রমণ করেছেন বিজেপির দিকে। মহারাষ্ট্রে সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমানে বিরোধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ‘অধৈর্য’ হয়ে উঠেছেন বলে সংবাদমাধ্য়মকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেছেন তিনি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen