নয়ডা থেকে গ্রেপ্তার ভুয়ো বোমা হুমকির মূল অভিযুক্ত, মুম্বই তোলপাড় প্রতিশোধের খেলায়!
মুম্বইতে গণেশ পুজোর বিসর্জনের প্রাক্কালে শুক্রবার মুম্বই পুলিশকে ভুয়ো বোমা হামলার হুমকি পাঠিয়ে গোটা শহরকে আতঙ্কে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:০০: মুম্বইতে গণেশ পুজোর বিসর্জনের প্রাক্কালে শুক্রবার মুম্বই পুলিশকে ভুয়ো বোমা হামলার হুমকি পাঠিয়ে গোটা শহরকে আতঙ্কে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। অবশেষে সেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ৫১ বছর বয়সী আশ্বিনী কুমারকে শুক্রবার রাতে নয়ডার সেক্টর ৭৯ এলাকা থেকে মুম্বই পুলিশ গ্রেপ্তার করে। মূলত প্রতিশোধের খেলার জেরে এই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিহারের পাটলিপুত্রের বাসিন্দা আশ্বিনী কুমারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ছিল ফিরোজ নামের এক ব্যক্তির। কিন্তু ২০২৩ সালে ফিরোজ তার বিরুদ্ধে বিহারের ফুলওয়ারি শরিফ থানায় একটি মামলা দায়ের করলে তিন মাসের জন্য জেলে যেতে হয় আশ্বিনীকে। সেই ক্ষোভ থেকেই তিনি মুম্বই পুলিশের কাছে ভুয়ো হুমকি বার্তা পাঠান এবং সেই বার্তায় নিজেকে ফিরোজ বলে পরিচয় দেন। উদ্দেশ্য ছিল ফিরোজকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো এবং প্রতিশোধ নেওয়া।
শুক্রবার মুম্বই পুলিশ একটি ভয়ঙ্কর হুমকি বার্তা পায়। সেখানে দাবি করা হয়, ৪০০ কেজি আরডিএক্সসহ মানব বোমা নিয়ে ৩৪টি গাড়ি মুম্বই শহরের বিভিন্ন স্থানে রাখা হয়েছে এবং বিশাল বিস্ফোরণ ঘটানো হবে। মুহূর্তে শহরে চরম সতর্কতা জারি হয়। বোম স্কোয়াড ও পুলিশের টিম শহরের নানা প্রান্তে তল্লাশি চালায়।
পরে তদন্তে জানা যায়, আশ্বিনী কুমার গত পাঁচ বছর ধরে নয়ডায় বসবাস করছিলেন এবং পেশায় একজন জ্যোতিষী। ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যার কারণে তার স্ত্রী আলাদা হয়ে গিয়েছেন। তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী এবং তার বাবা সুরেশ কুমার শিক্ষাদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী।
গ্রেপ্তারের সময় পুলিশ আশ্বিনীর কাছ থেকে সাতটি মোবাইল ফোন, তিনটি সিম কার্ড, চারটি সিম কার্ড হোল্ডার, ছয়টি মেমরি কার্ড হোল্ডার, দুটি ডিজিটাল কার্ড এবং একটি মেমরি কার্ড উদ্ধার করে।
নয়ডার ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ সুমিত শুক্লা জানিয়েছেন, “মুম্বই পুলিশ শুক্রবার রাতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পূর্ণ করে মুম্বইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
এই ঘটনার জেরে ফের প্রশ্ন উঠেছে ভুয়ো হুমকি এবং সাইবার অপরাধের নিরাপত্তা নিয়ে। পুলিশের দাবি, অপরাধী যতই চতুর হোক না কেন, প্রযুক্তির সাহায্যে সত্যকে আড়াল করা যায় না।