বালুরঘাট ও গুজরাতের ভোটারের EPIC নম্বর একই! ভোটার তালিকায় বড় গরমিল ধরা পড়ল

বিষয়টি জানতে পেরেই সোমবার চেয়ারম্যান অশোকবাবু ও শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রীতম রাম মণ্ডল ওই বাড়িতে যান।

March 5, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বালুরঘাট পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁঠালতলার এক ভোটারের নাম ডালিয়া রায়। ওই মহিলার এপিক নম্বর এলপিজেড ২৪২১৬৭৫। একই এপিক নম্বরে গুজরাতের আমেদাবাদের ভবেশভাই প্রজাপতিরও নাম রয়েছে। ওই ওয়ার্ডটি আবার পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্রর। বিষয়টি জানতে পেরেই সোমবার চেয়ারম্যান অশোকবাবু ও শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রীতম রাম মণ্ডল ওই বাড়িতে যান।

বিজেপির দাবি, এসব দেখার দায়িত্ব প্রশাসনের। বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, দলীয় নির্দেশে আমরা শহরে ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখা শুরু করেছি। তা করতে গিয়ে নিজের ওয়ার্ডেই এধরনের গরমিল খুঁজে পেলাম। একই এপিক নম্বরে গুজরাতের আমেদাবাদের এক ব্যক্তির নাম পাওয়া গিয়েছে। আমরা মনে করছি তিনি সরাসরি সেখানে বসেই ভোট দিয়েছেন। আমরা ভোটে সায়েন্টিফিক রিগিংয়ের কথা শুনেছি। এটা হয়তো তাই। আমরা বিষয়টি দলনেত্রীকে জানাব।

এই ঘটনায় অবাক ডালিয়া রায়ের বাবা বীরেশ্বর রায় বলেন, মেয়ের রায়গঞ্জে বিয়ে হয়েছে। এদিন চেয়ারম্যান এসে বিষয়টি জানালেন। দ্রুত এনিয়ে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছি। তৃণমূলের টাউন সভাপতি প্রীতম রাম মণ্ডলের কথায়, প্রথম দিন বেরিয়েই এধরনের গরমিল নজরে এল। আগামীতে আরও অনেক নজির সামনে আসবে। পাল্টা বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপী সরকারের মন্তব্য, বিষয়টি দেখার দায়িত্ব জেলাশাসক বা জেলা প্রশাসনের। বালুরঘাটেও বাংলাদেশি ভোটার রয়েছে। সেবিষয়ে তৃণমূল চুপ কেন? এদিন পতিরামে একই এপিক নম্বরে দুই ভোটারের খোঁজ মিললে সেখানে যান জেলা পরিষদের সভাধিপতি অম্বরিশ সরকার। তাঁর দাবি, পতিরামের প্রণবপল্লী হালদারপাড়ার বাসিন্দা গোবিন্দ হালদারের এপিক নম্বরের সঙ্গে মিল রয়েছে গুজরাতের আমেদাবাদের এক বাসিন্দার।

দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর মহকুমাতেও নানা জায়গায় এমন গরমিলের হদিশ মিলেছে। এনিয়ে শোরগোল পড়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রীও এনিয়ে সরব হয়েছেন। এদিকে বালুরঘাটে এতদিন পর্যন্ত এমন ভোটারের খোঁজ ছিল না। রবিবার সন্ধ্যায় এই ভোটার তালিকা নিয়ে টাউন নেতৃত্ব বৈঠক করে। এরপরেই বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করতেই একই এপিকে একাধিক নামের বিষয় উঠে এসেছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen