সংখ্যাগরিষ্ঠ স্নাতক চাকরি পাওয়ার অযোগ্য! গ্র্যাজুয়েট স্কিল ইনডেক্স ২০২৫-এ প্রশ্নের মুখে মোদী আমলের শিক্ষাব্যবস্থা
তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নিয়োগও কম হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: ‘মোদীর ভারতে’ দেশের প্রায় ৫৮ শতাংশ স্নাতকই কাজের অযোগ্য! চাকরি পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা তাঁদের নেই! চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ করেছে দক্ষতা মূল্যায়ণকারী সংস্থা মারসের-মেটল। গ্র্যাজুয়েট স্কিল ইনডেক্স ২০২৫ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। তারা জানিয়েছে, দেশের স্নাতকদের মধ্যে মাত্র ৪২.৬ শতাংশ চাকরি পাওয়ার যোগ্য। ৫৭.৪ শতাংশ ডিগ্রি লাভ করলেও নিয়োগকারী সংস্থার যোগ্যতামান পার করতে পারছেন না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ডেটা অ্যানালিসিসের মতো প্রযুক্তিগত বিষয়ে তাঁরা পিছিয়ে আছেন। সৃজনশীলতা, জটিল সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা, জনসংযোগের মতো দক্ষতাও নেই। নিয়োগের সুযোগ মিলছে না। তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নিয়োগও কম হয়েছে। সমস্যার মুখে পড়েছেন সদ্য স্নাতকরা।
শিক্ষিত-বেকারদের এহেন পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসতে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। মোদী সরকারকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। কেন এই পরিস্থিতি? তথ্যাভিজ্ঞমহলের মতে, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জেরে শিল্পক্ষেত্র বদলে গিয়েছে। নিয়োগকর্তার চাহিদাতে বদল এসেছে। প্রযুক্তিগত দক্ষতা কম থাকলেও চাকরি পেতে কিন্তু সমস্যা নেই। সেক্ষেত্রে প্রার্থীর জনসংযোগ, জটিল সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা, সৃজনশীলতাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন নিয়োগকর্তারা। মারসের-মেটলের রাজ্যভিত্তিক তালিকায় দেখা যাচ্ছে, দিল্লি (৫৩.৪ শতাংশ), হিমাচল প্রদেশ (৫১.১ শতাংশ) ও পাঞ্জাব (৫১.১ শতাংশ) থেকে সবচেয়ে বেশি স্নাতক চাকরি পেয়েছেন।
মোদী সরকারের আমলের শিক্ষা ব্যবস্থাকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। বাজার অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত সব মহলই কিন্তু বলছে, শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন দরকার। ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় তাত্ত্বিক বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, ব্যবহারিক প্রয়োগকে গরুত্ব দেওয়া হয় না। কাজের আবহ বদলে দিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অটোমেশন। তাই যুব সম্প্রদায়কে সময়োপযোগী হয়ে উঠতে হবে। প্রশিক্ষণের অভাবই প্রধান কারণ।