ভার্চুয়াল একুশে – শেয়ার, কমেন্টে রেকর্ড গড়ে মমতা টপকালেন গতবারের পরিসংখ্যান

আসলে ২০২১-এর মমতা অনেক দিক থেকেই ছাপিয়ে গিয়েছেন নিজের অতীতকে।

July 21, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

২০১১ সালের পর থেকে বিধানসভা ভোটের ফলে নিজেই নিজেকে ছাপিয়ে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ২০১১-তে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে যত আসন পেয়েছিলেন, ২০১৬-তে একা লড়ে তা টপকে যান। ২০২১-এও একা লড়েন এবং টপকে যান ২০১৬-র ফলকে। আসনসংখ্যা এবং ভোটপ্রাপ্তি সব দিক থেকেই। এ বার ২১ জুলাই-এর মঞ্চেও নিজেকে ছাপালেন তৃণমূল নেত্রী। ২০২০-র শহিদ দিবস (Shahid Dibas) কর্মসূচির ফেসবুক ভিডিয়োর শেয়ার এবং কমেন্টকে এক ঘণ্টাতেই ছাড়িয়ে গিয়েছে বুধবারের ভিডিয়ো।

এই এক বছরে বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অনেক ফারাক। ২০২০ সালে তৃণমূলের (TMC) ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছিল বিজেপি (BJP)। তার আগের বছরের লোকসভা ভোটে প্রায় সমানে সমানে ফল। ২১-এ বাংলা জিততে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন মোদী, শাহেরা। গুঞ্জন ছিল, তৃণমূলের অনেক বাঘা নেতাই তলে তলে যোগাযোগ রাখছেন বিজেপি-র সঙ্গে। এমন পরিস্থিতিতেই মমতার ২১ জুলাই কর্মসূচি হয় গত বছর। কোভিড পরিস্থিতিতে সেই সভাও ছিল ভার্চুয়াল। তার পর এই এক বছর ধরে সেই ফেসবুকে সেই বক্তৃতার ভিডিয়ো শেয়ার হয়েছে ১৫ হাজারের কিছু বেশি। আর এ বছর ২১ জুলাই বক্তৃতা শেষের এক ঘণ্টার মধ্যে তার শেয়ার সংখ্যা হয়ে যায় ২৮.৬ হাজার।

শুধু শেয়ারেই (Shares) নয়, কমেন্টেও (Comments) তাই। গত বছরের ভিডিয়োতে মোট কমেন্ট ১৬ লাখ ৪০ হাজারের মতো। এ বার এক ঘণ্টায় তা আড়াই লাখ ছাড়িয়েছে। তবে মোট লাইক এবং ভিউ-তে এখনও পিছিয়ে আছে এ বারের ফেসবুক ভিডিয়ো। ফেসবুক ইউজার নিয়ে চর্চা করেন যাঁরা, তাঁদের মতে এ ক্ষেত্রেও কিছু দিনের মধ্যেই ২০২১-এর মমতা ছাপিয়ে যাবেন ২০২০-র মমতাকে।

আসলে ২০২১-এর মমতা অনেক দিক থেকেই ছাপিয়ে গিয়েছেন নিজের অতীতকে। ২০১১ সালে তাঁর লড়াই ছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য। ২০১৬ আর ২০২১-এর ভোটে তাঁর লক্ষ্য ছিল নিজের ক্ষমতা ধরে রাখা। কিন্তু ২০২১ সালের বিরাট জয় তাঁর নাম তুলে এনেছে দেশের ভাবী প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে।

একদিকে ২১ শে জুলাইয়ে তৃণমূলের শহিদ দিবস ভার্চুয়ালি পালন হল দেশজুড়ে। অন্যদিকে বিজেপির তরফে এদিনই শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস হিসাবে পালন করা হল। সেখানেও ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। দুই অনুষ্ঠানই ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়।

একই দিনে দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দলের অনুষ্ঠান। তৃণমূলের মুখ্য বক্তা যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানে বিজেপির স্টার বক্তা শুভেন্দু অধিকারি। স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে কোন দলের ভার্চুয়াল সভা বাজিমাত করল। তার উত্তর মিলল ফেসবুক লাইভের ভিউয়ারশিপে।

তৃণমূলের যেখানে লাইভ ভিউয়ারশিপ ১৯ হাজার অবধি উঠেছিল, সেখানে বিজেপির অনুষ্ঠানের সর্বোচ্চ ভিউয়ারশিপ ৪.৭ হাজার। অর্থাৎ ধারে কাছেও নেই। এই ঘটনা থেকে আরও একবার বাংলায় বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা স্পষ্ট হয়ে গেল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen