উত্তরবঙ্গে শিল্প সম্মেলনে ব্যবসায়ীদের অনুযোগে ব্যবস্থার আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
মমতার কথায়, “কেন এটা হচ্ছে? আমি তো ফি বাড়াই-ই না। আমাদের ওখানে জলের উপরও ট্যাক্স বাড়াতে দিই না। এটা তো হওয়া উচিত না।”

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:২৬: সোমবার শিলিগুড়িতে ছিল ‘নর্থবেঙ্গল বিজনেস মিট-২০২৫।’ সেখানে কোচবিহার ব্যবসায়ী সমিতির তরফে সুরজকুমার ঘোষ অভিযোগ করেন, গত তিন বছরে এই জেলার ট্রেড লাইসেন্স ফি উত্তরে অন্যান্য জেলার তুলনায় অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে মিউটেশন ফি এবং কনজারভেনশন ফি বৃদ্ধি নিয়েও অভিযোগ করেন। সেই কথা শোনামাত্রই ‘অ্যাকশন’ নেন মমতা। জানান, এই ফি যে বেড়েছে তা তিনি জানেনই না। মুখ্যসচিবকে বিষয়টি দেখে নিতে বলেন। মমতার কথায়, “কেন এটা হচ্ছে? আমি তো ফি বাড়াই-ই না। আমাদের ওখানে জলের উপরও ট্যাক্স বাড়াতে দিই না। এটা তো হওয়া উচিত না।”
এদিন শিল্পপতি থেকে শুরু করে ছোট ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁদের বিভিন্ন পরিকল্পনা জানানোর পাশাপাশি নানা ধরনের সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতাগুলিও তুলে ধরেন। তেমনই এক ছোট ব্যবসায়ী কিছুটা অনুযোগের সুরে মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, যখন কোনও পণ্যবাহী গাড়ি রাস্তায় নামে, তখন তার জন্য টোল ট্যাক্স, জিএসটি প্রভৃতি দিতে হয়। উপরন্তু, পুলিশকেও টাকা দিতে হয়। এতে খরচ অনেক বেড়ে যায়। সরাসরি গাড়ির ভাড়া বেড়ে যায়। ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, যদি কোথাও পুলিশকে ১০০ টাকা দেওয়া হয়, তাহলে চালকরা ব্যবসায়ীদের এসে বলেন, তাঁরা ৫০০ টাকা দিয়েছেন। এতে আখেরে ব্যবসায়ীদেরই ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।
এর প্রেক্ষিতে মমতা মূলত দু’টি বিষয়ে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, টোল ট্যাক্স, জিএসটি – এসব কেন্দ্রের বিষয়। এখানে তাঁর কিছু করার নেই। তবে, রাজ্য়ের তরফে একটা অনুরোধ করা যেতে পারে, যদি কেন্দ্রীয় সরকার ছোট ব্যবসায়ীদের অন্তত কিছু ছাড় দেয়। এরই সঙ্গে মমতা বলেন, পুলিশ কেন ট্যাক্স তুলবে? পুলিশ তো টাকা তুলতে পারে না। মমতার আশ্বাস, যদি এমন কোনও ঘটনা ঘটে, তাহলে সেটা যাতে দেখা হয়, তিনি পুলিশকেই সেই নির্দেশ দেবেন। কারণ, এসব যাতে না ঘটে, সেটা দেখার দায়িত্ব পুলিশেরই।