এবার দুর্গাপুজোর থিমেও মমতার স্বপ্নের প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’

ভিড় এড়াতে কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবারও রাখা হচ্ছে না।

September 15, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

ঝাড়গ্রামের দুর্গাপুজোর থিমে এবার জায়গা করে নিল ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।’ বিরিহাণ্ডি উদীয়মান তরুণ সঙ্ঘের পুজোর থিম এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এর আগে জেলার সেরা মণ্ডপের জন্য এখানকার পুজো দু’বার রাজ্য সরকারের বিশ্ববাংলা সেরা শারদ সম্মান পেয়েছে। এবারও আশায় বুক বাঁধছেন উদ্যোক্তারা। 


দুয়ারে সরকার শিবিরের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে মহিলাদের উপচে পড়া ভিড়, উৎসাহ-উদ্দীপনা, এই সবকিছুই বিভিন্ন মূর্তির মাধ্যমে এই পুজো মণ্ডপে তুলে ধরা হবে। ঝাড়গ্রাম শহরের কুমুদকুমারী স্কুলের আদলে হবে পুজোর মণ্ডপ। সেখানে যেভাবে মহিলারা গিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন, তার পুরো চিত্রই মণ্ডপে ফুটিয়ে তোলা হবে। গ্রামীণ এলাকার মহিলারা কেউ সন্তান কোলে নিয়ে, কেউ ছাতা মাথায় দিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য ভিড় জমান। সেসব চিত্র এবার মূর্তির মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। পুজোর প্রতিমা সহ মোট ১২০টি মূর্তি থাকবে। এখন সেসব মূর্তি তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে। এখানকার পুজো এবার ছ’বছরে পা দিল। এবারের মূর্তি তৈরি করছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শিল্পী তপন দাস। এর আগে ২০১৭ সালে এখানকার প্যান্ডেল জেলায় প্রথম হিসেবে রাজ্য সরকারের বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান পায়। সেবছর এখানের পুজোর থিম ছিল অদৃশ্য দুর্গা। সেসময় জেলার শহর এবং গ্রামাঞ্চল থেকে লাখো মানুষের ভিড় জমে এই পুজোমণ্ডপে। এরপর ২০১৯ সালে যমালয়ে জীবন্ত দুর্গা তৈরি করে জেলার সেরা মণ্ডপের জন্য বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান পায় এই পুজো কমিটি। এবারের পুজোর থিম ভাবনায় রয়েছেন ক্লাবের সম্পাদক জগদীশ মাহাত।

 
ঝাড়গ্রাম শহর থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে আগুইবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের এই বিরিহাণ্ডি গ্রাম। একসময় এলাকাটি মাওবাদী-সন্ত্রস্ত এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল। সে সময়ই এই পুজো মণ্ডপের অদূরে মাওবাদী নেতা উমাকান্ত মাহাতর মূর্তি বসানো হয়। সেই মূর্তি এখনও রয়েছে। পুজো দেখতে এসে অনেকেই এই মূর্তি দেখেন। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়। এখানকার পুজো কমিটি বিগত কয়েক বছর ধরেই নতুন নতুন থিমের পরিকল্পনার মাধ্যমে জেলায় নজর কাড়ছে। করোনা পরিস্থিতির আগে এখানকার পুজো দেখতে গাড়ি ভাড়া করে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন আসতেন। পরিস্থিতি ভালো থাকলে এবারও আসবেন বলে উদ্যোক্তাদের আশা।
রাজ্য সরকার পুজোর সময় ক্লাবগুলিকে যে আর্থিক অনুদান দেয়, এই ক্লাবও সেই অনুদান পাচ্ছে। গত বছরও এই ক্লাব ৫০ হাজার টাকা সাহায্য পেয়েছে। এবছর পুজোর বাজেট রাখা হয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। ক্লাবের সম্পাদক বলেন, দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে যে উপচে পড়া ভিড়, মহিলাদের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান, তা সারা রাজ্যেই সাড়া ফেলছে। তাই এবারের পুজোর থিম লক্ষ্মীর ভাণ্ডার রাখা হয়েছে। গ্রামাঞ্চলের মানুষ যেভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ফর্ম জমা দিয়েছেন, তার সমস্ত কিছুই মূর্তির মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। পুজো হবে করোনাবিধি মেনে। যাতে দর্শনার্থীরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন, মাস্ক ব্যবহার করেন, সেদিকেও নজর রাখা হবে। ভিড় এড়াতে কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবারও রাখা হচ্ছে না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen