করোনার কারণে আধঘন্টায় শেষ রেড রোডের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

এদিন সকাল ১০টা নাগাদ রেড রোডে উপস্থিত হন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

August 15, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

করোনা পরিস্থিতিতে মাত্র ৩০ মিনিটেই শেষ হল রেড রোডের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান। এদিন সকাল ১০টা নাগাদ রেড রোডে উপস্থিত হন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এরপর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং পুলিশ কমিশনার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আগে থেকেই কাটছাঁট করা হয়েছিল আড়ম্বরে। করোনার জন্য রাজ্য পুলিশ, দমকল সহ মাত্র ২০টি ট্যাবলোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে নজর কেড়েছে লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার, খাদ্যসাথী, খেলা হবে দিবস, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের ট্যাবলোগুলি। দর্শকশূন্য রেড রোডেই প্রদর্শিত হয় ট্যাবলোগুলি।

করোনা জন্য অতিথি সংখ্যাও এক চতুর্থাংশ করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর বসার জায়গার উল্টো দিকেই লাগানো হয়েছিল জায়ান্ট স্ক্রিন। এদিন রেড রোডের অনুষ্ঠান শেষে রেড রোড সংলগ্ন নেতাজি মূর্তি ও পুলিশ মেমোরিয়ালে মাল্যদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে রেড রোড সহ কলকাতার নিরাপত্তা অনেকটাই আঁটোসাঁটা করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কড়া নজরদারির পাশাপাশি রেড রোডে করা হয়েছে ৩টে ওয়াচ টাওয়ার। ২০টির উপরে জায়গায় রয়েছে নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থা। পুলিশের পদস্থ কর্তারা হাজির থাকছেন বিভিন্ন জায়গায়।কিংয়ের ব্যবস্থা। পুলিশের পদস্থ কর্তারা হাজির থাকছেন বিভিন্ন জায়গায়।

প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গান লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই গানের একটি ভিডিয়ো ফেসবুকে প্রকাশও করেছেন তিনি নিজেই। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘ভারতবর্ষের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে দেশ মাতৃকাকে আমার প্রণাম জানাই। আজকের এই শুভদিনে আমার রচনা ও ভাবনায় একটি গান রইল সবার জন্য।’ গানের প্রথম চার লাইন নিজের পোস্টের সঙ্গে জুড়েও দিয়েছেন তিনি। ‘এই ধরণীর মাটির বাঁধন/ বাঁধুক জোরে মোদের/ সোনার চেয়েও যে খাঁটি/ দেশটা সবার নিজের।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen