‘গণতন্ত্রের অন্ধকার, অশুভ দিন’, দিল্লিকাণ্ডে সোচ্চার মমতা

দিল্লির কৃষি ভবনে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ-মন্ত্রীদের উপর দিল্লি পুলিসের হেনস্তার ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

October 4, 2023 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি:   দিল্লির কৃষি ভবনে তৃণমূল নেতৃত্বের উপর দিল্লি পুলিসের হেনস্তার ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রাত পৌনে বারোটা নাগাদ তিনি এক্স হ্যান্ডেলে নিন্দার পাশাপাশি ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, ‘আজ গণতন্ত্রের জন্য একটি অন্ধকার, অশুভ দিন। বাংলার মানুষের প্রতি বিজেপির ঘৃণা প্রকাশ্যে এসেছে। গরিবদের প্রতি তাদের অবজ্ঞা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি তাদের অনাস্থা ফুটে উঠেছে।’ 

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী  নিরঞ্জন জ্যোতির দেখা না-পেয়ে কৃষিভবনেই অবস্থান শুরু করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেকসহ তৃণমূলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, সঙ্গে ছিল ভুক্তোভোগীদের আট জন। এর পরেই তাঁদের টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে  দিল্লি পুলিশ। উত্তর দিল্লির মুখার্জীনগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। সেখানে প্রায় দু’ঘণ্টা পর রাত ১১টা নাগাদ ছেড়ে দেওয়া হয়।  

এই গোটা ঘটনার নিন্দা করে মমতা আরও লেখেন যে,  ‘ওরা বাংলার গরিবদের জন্য বরাদ্দ তহবিলের টাকা আটকে রেখেছে। যখন আমাদের প্রতিনিধি দল দিল্লিতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন, তখনই তাদের দাঁত-নখ বেরিয়ে আসে। প্রথমে রাজঘাট তারপর কৃষি ভবন। দিল্লি পুলিস বিজেপির হয়ে কাজ করছে। অপরাধীদের মতো আমাদের প্রতিনিধিদের ভ্যানে তুলেছে। এসবের পিছনে কারণ একটাই, তৃণমূল ক্ষমতার সামনে গলা তুলে কথা বলার সাহস দেখাতে পারে। ওদের ঔদ্ধত্যের কোনও সীমা নেই। ওরা ক্ষমতার লোভে অন্ধ। তবে এবার ওরা বাংলার কণ্ঠরোধ করার জন্য সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছে।আমরা ভয় করব না ভয় করব না, দু’বেলা মরার আগে মরব না, ভাই, মরব না।’  

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen