আজ আলিপুরে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাবেন মমতা

রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের অবশ্য দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ী হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।

September 10, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

‘সাদা শাড়ি নীল পাড়, ঘরের মেয়ে বারবার’। ভবানীপুরের অলিতে গলিতে চোখে পড়ছে জোড়াফুলের এই স্লোগান। আজ, শুক্রবার দুপুরে স্লোগানে ঘেরা সেই রাস্তা দিয়েই মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাবেন এই বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। বাধ্য হয়ে তাদের জোটসঙ্গী বামফ্রন্ট একাই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছে ভবানীপুরে। সিপিএমের সেই প্রার্থী অবশ্য ভোট-যুদ্ধে একেবারে নবাগত। আর বিজেপি প্রার্থী বাছতেই হিমশিম খাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কারও নাম ঘোষণা করতে পারেনি তারা। ফলে ‘খেলা শুরু’র আগেই কার্যত ‘গোল’ খেয়ে গিয়েছে বিরোধীরা।

নন্দীগ্রামে কীভাবে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন, বুধবার কর্মিসভাতেই তা তুলে ধরেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। জানিয়েছিলেন, এর জবাব তিনি দিতে চান ভোটবাক্সে। ভবানীপুরের সঙ্গে তাঁর আত্মিক সম্পর্ক। এখানকার মানুষের আবেগ-ভালোবাসার সঙ্গে বছরভর আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকেন তিনি। এই সম্পর্কের গভীরতা অনেক। দক্ষিণ কলকাতা, যাদবপুরের সাংসদ ছিলেন মমতা। ২০১১ সালের উপনির্বাচন ও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও ভবানীপুর তাঁকে সমর্থন জানিয়েছে। তাই জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তিনি। দলনেত্রীকে রেকর্ড মার্জিনে জেতাতে পুরোদস্তুর ভোটযুদ্ধে নেমে পড়েছেন তৃণমূল নেতারা। ভোটার তালিকা ধরে চলছে আলোচনা। ওয়ার্ড ভিত্তিক দায়িত্বে থাকা নেতারা ঘনঘন বৈঠক করছেন কর্মীদের সঙ্গে। শুরু হয়ে গিয়েছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতানোর আবেদন জানিয়ে লিফলেট দেওয়া হচ্ছে। 


এদিকে দলীয় সূত্রে খবর, আজ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন এবং বার্তা পৌঁছবে ভবানীপুরের ঘরে ঘরে। সেখানে থাকবে, বিজেপির হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর ডাক। তৃণমূলনেত্রী বলেছেন, একদিকে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সম্পত্তি বিক্রি করে দিচ্ছে বিজেপি, অন্যদিকে পেট্রল-ডিজেল, রান্নার গ্যাসের ক্রমাগত দামবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস অবস্থা সাধারণ মানুষের। কর্মসংস্থান, সার্বিক উন্নয়নে বাংলা যখন দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা অর্জন করছে, তখন বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার ‘আচ্ছে দিন’ এনে দিতে পারেনি। তবে কোনওভাবেই এই নির্বাচনকে হাল্কাভাবে দেখছে না তৃণমূল। সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মতো পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদরা নেমে পড়েছেন মমতাকে জেতাতে। তাঁরা বলছেন, এই ভোট অন্যায়ের জবাব দেওয়ার। আত্মসম্মানের লড়াই। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের অবশ্য দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ী হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।

উল্টোদিকে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে নাজেহাল বিজেপি। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত গেরুয়া শিবির প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারেনি। মিঠুন চক্রবর্তী, তথাগত রায়ের মতো হেভিওয়েটরা প্রার্থী হতে চাননি। অনেকেই বলছেন, হার নিশ্চিত জেনেই এমন সিদ্ধান্ত। তাই শুধু ‘নামকে ওয়াস্তে’ প্রার্থী দিতে স্থানীয় কাউকে খোঁজা হচ্ছে। যদিও বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘আশা করছি, শুক্রবারের মধ্যে নাম প্রকাশ হয়ে যাবে।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen