শোকাতুর পরিবারের পাশে মমতা, ওড়িশায় নিহত শ্রমিক জুয়েলের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা সাহায্যের ঘোষণা রাজ্যের
Authored By:

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:১৫: ওড়িশার সম্বলপুরে গণপ্রহারে নিহত বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক জুয়েল রানার পরিবারের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রতিশ্রুতি মতো জুয়েলের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের সুতি-১ ব্লকের চকবাহাদুরপুর গ্রামের বাসিন্দা জুয়েল রানা (Jewel Rana) দিনকয়েক আগেই রাজমিস্ত্রির কাজে ওড়িশার (Odisha) সম্বলপুরে গিয়েছিলেন। গত বুধবার রাতে কাজ শেষে একটি চায়ের দোকানে বসে সঙ্গী আরিক ও পলাশের সঙ্গে বাংলায় কথা বলছিলেন জুয়েল। অভিযোগ, সেই সময় স্থানীয় কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁদের ওপর চড়াও হয়। শুধুমাত্র বাংলা ভাষায় কথা বলার কারণে তাঁদের ‘বাংলাদেশি’ (Bangladeshi) বলে গালিগালাজ করা হয়। জুয়েল ও তাঁর সঙ্গীরা নিজেদের ভারতীয় পরিচয়পত্র দেখালেও উন্মত্ত জনতা তা গ্রাহ্য করেনি। সঙ্গীরা পালাতে সক্ষম হলেও জুয়েলকে ধরে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়, যার জেরে প্রাণ হারান এই পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant worker)। পুলিশ পরে তাঁর দেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
শুক্রবার সকালে জুয়েলের কফিনবন্দি দেহ গ্রামে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিজনরা। ফিরে এসেছেন তাঁর সঙ্গী আরিক ও পলাশও। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা এলাকা। গ্রামবাসী থেকে শুরু করে নিহতের পরিবার- সকলেই ভিনরাজ্যে বাংলার শ্রমিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি তুলেছেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওড়িশার (Odisha) বিজেপি সরকারের (BJP government) বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলাভাষী মানুষদের ওপর পরিকল্পিতভাবে অত্যাচার চালানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মানুষের জীবনের বিনিময়ে কোনও মূল্য হয় না। কিন্তু প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য সরকার অসহায় পরিবারের পাশে থাকবে।’’ সেই মানবিক দায়বদ্ধতা থেকেই জুয়েলের পরিবারের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে এই আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করা হলো।