বিশ্বকাপে বাধ্যতামূলক হাইড্রেশন ব্রেক! প্লেয়ারদের সুরক্ষা নাকি ব্যবসা—ফিফার নতুন নিয়মে উঠছে প্রশ্ন

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:৩৩: ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে এক নতুন বিতর্ক মোড় নিয়েছে। ফিফা ঘোষণা করেছে—টুর্নামেন্টের প্রতিটি ম্যাচে দুই অর্ধে বাধ্যতামূলক তিন মিনিটের ‘হাইড্রেশন ব্রেক’। মূলত এই নিয়ম খেলোয়াড়দের গরম থেকে রক্ষা করা। কিন্তু সমর্থক সহ ফুটবল মহলের প্রশ্ন, নিরাপত্তা নাকি ব্যবসা—আসলে কোনটা বড়?
আগে ‘কুলিং ব্রেক’ দেওয়া হতো শুধু তখনই, যখন মাঠের তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রির বেশি থাকতো। কিন্তু গত ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে নিয়ম বদলে গেছে। প্রতিটি ম্যাচেই বিরতি দেওয়া হয়েছে, এবং সেই নীতি এবারও চালু থাকছে। মেক্সিকো সিটি, গুয়াডালাহারা কিংবা মন্টেরের মতো শহরে তাপমাত্রা সত্যিই খেলোয়াড়দের জন্য চ্যালেঞ্জ। এনজো ফারনান্দেজের ‘মাথা ঘুরে যাওয়ার’ মন্তব্য কিংবা টমাস টুখেলের সতর্কবার্তা ফিফাকে আরও চাপের মুখে ফেলেছিল।
তবুও প্রশ্ন থেকে গেছে—যেখানে গরম নেই, সেখানে কেন একই নিয়ম? টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর মানোলো জুবিরিয়া জানিয়ে দিয়েছেন, পরিস্থিতি যাই হোক, হাইড্রেশন ব্রেক বাধ্যতামূলক। এখানেই সন্দেহের শুরু। কারণ, বাড়তি বিরতি মানেই বাড়তি কমার্শিয়াল স্লট। বিশ্বকাপকে ৪৮ দলে সম্প্রসারণ, ম্যাচ সংখ্যা বাড়িয়ে ১০৪ করা, তিন দেশকে আয়োজক বাছাই—সব মিলিয়ে বহু সিদ্ধান্তেই বাণিজ্যিক ভাবনা স্পষ্ট। এমনকি টিকিটের ‘ডাইনামিক প্রাইসিং’-ও সেই ধারণা আরও পোক্ত করেছে।
ফুটবলাররা খুব কম সময়েই জল খাওয়ার জন্য বিরতি চান—এ যুক্তিও উঠছে। তিন মিনিটের বাধ্যতামূলক ম্যাচ বন্ধ কি খেলার ছন্দ নষ্ট করবে? নাকি সত্যিই খেলোয়াড়দের সুরক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ দরকার?
ফিফা দাবি করছে—এই সিদ্ধান্ত একমাত্র খেলোয়াড়দের ভালোর জন্য। কিন্তু ফুটবলপ্রেমীরা এখনও সন্দিহান—এ সিদ্ধান্তের কেন্দ্রে স্বাস্থ্য, নাকি আড়ালে লুকিয়ে থাকা বিশাল বাণিজ্য? সময়ই বলে দেবে হাইড্রেশন ব্রেক ফুটবলের গতি কোন পথে নিয়ে যায়।