অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নিয়ে কেন্দ্রের নতুন নিয়মের জেরে কাজ হারাতে পারেন অনেকে

কেন্দ্রের এই নিয়ম না মানলে সংশ্লিষ্ট খাতেও বাংলার বরাদ্দ আটকে দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রের পাঠানো চিঠিতেই সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট

May 18, 2023 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
গোঘাটের শ্রীপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে, ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নিয়ে নতুন করে জটিলতা তৈরির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কেন্দ্রের চাপে। যার ফলে অনেককে কাজ হারাতে হতে পারে।

ডব্লুবিসিএস, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি থেকে শুরু করে পুলিস কনস্টেবল পদে চাকরি পাওয়ার বয়সসীমা বিভিন্ন সময় বৃদ্ধি করেছে রাজ্য। এর ফলে চাকরির সুযোগ অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু মোদী সরকার এবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে চাকরি পাওয়ার বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৪৫ থেকে কমিয়ে ৩৫ বছর করে দিয়েছে। এই নিয়ম এবার বাংলায় চালু করার জন্য রাজ্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে আরম্ভ করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের এই নিয়ম না মানলে সংশ্লিষ্ট খাতেও বাংলার বরাদ্দ আটকে দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রের পাঠানো চিঠিতেই সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট।

নবান্ন সূত্রে খবর, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে জনবিরোধী বলেই মনে করছে প্রশাসনের শীর্ষমহল। তাই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রকে মুখ্যমন্ত্রী চিঠি দিতে পারেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই মুহূর্তে রাজ্যে ১ লক্ষ ১৮ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি বা আইসিডিএস কেন্দ্র রয়েছে। এখন রাজ্যের ছ’-সাতটি জেলায় অঙ্গনওয়াড়ি ওয়ার্কার এবং হেল্পার পদে কয়েক হাজার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। উভয় ক্ষেত্রেই বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৪৫ বছর ধরেই চলছে প্রক্রিয়া।

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চাকরির পাওয়ার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতায়ও বদল আনা হয়েছে। আগে ক্লাস এইট পাশ হলেই হেল্পারের চাকরির জন্য আবেদন করা যেত। এঁদের কাজ হল রান্না করা, খাবার পরিবেশন এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিচ্ছন্ন রাখা। শিক্ষা ও পুষ্টি সংক্রান্ত বাকি বিষয়গুলি দেখেন ওয়ার্কাররা। আগে মাধ্যমিক পাশ করলেই এই পদের জন্য আবেদন করা যেত। কেন্দ্রের নয়া নিয়মে উভয় ক্ষেত্রেই অন্তত উচ্চ মাধ্যমিক পাশ বাধ্যতামূলক। অনেকে মনে করছে, কেন্দ্রের এই নিয়মের জেরে, রাজ্যের প্রান্তিক মানুষের উপর কোপ পড়তে চলেছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen