সচীন পুত্র অর্জুন তেন্ডুলকরের বাগদান, পাত্রী কে জানেন?
সচীন পুত্র অর্জুন, ঘরোয়া ক্রিকেটে গোয়ার প্রতিনিধিত্ব করেন এবং ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেছেন।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:৪২: প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক ও ক্রিকেট কিংবদন্তি সচীন তেন্ডুলকরের(Sachin Tendulkar) পুত্র অর্জুন তেন্ডুলকর জীবনের নতুন অধ্যায়ে পা রাখলেন। ২৫ বছর বয়সী এই বাঁ-হাতি ফাস্ট বোলিং অলরাউন্ডার সম্প্রতি বাগদান সারলেন সানিয়া চন্দোকের(Saaniya Chandhok) সঙ্গে। কে এই সানিয়া? সানিয়া হলেন মুম্বইয়ের প্রখ্যাত ব্যবসায়ী রবি ঘাই-এর নাতনি। পরিবারের ঘনিষ্ঠদের উপস্থিতিতে এই বাগদান অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়, যেখানে দুই পরিবারেরই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
সচীন পুত্র অর্জুন, ঘরোয়া ক্রিকেটে গোয়ার প্রতিনিধিত্ব করেন এবং ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেছেন। ২০২০/২১ মরশুমে মুম্বইয়ের হয়ে টি২০ ম্যাচে অভিষেক করেন তিনি, পরে ২০২২/২৩ মরশুমে গোয়ায় যোগ দেন। প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেটে ১৭ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ৫৩২ রান, যার মধ্যে রয়েছে একটি শতরান ও দুটি অর্ধশতক। বল হাতে নিয়েছেন ৩৭ উইকেট, যেখানে রয়েছে এক ম্যাচে পাঁচ উইকেট শিকার ও এক ম্যাচে দুইবার চার উইকেট শিকার। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তিনি ১৭ ম্যাচে খেলেছেন, আর আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে পাঁচ ম্যাচে খেলে তাঁর দখলে রয়েছে তিনটি উইকেট ।
অন্যদিকে, সানিয়া চন্দোক স্পটলাইট থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করেন। তবুও তাঁর পরিবার মুম্বইয়ের ব্যবসায়িক জগতে অন্যতম প্রভাবশালী নাম। তাঁর দাদু রবি ইকবাল ঘাই ‘গ্রাভিস হসপিটালিটি লিমিটেড’-এর চেয়ারম্যান, যা বিলাসবহুল হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মেরিন ড্রাইভ এবং জনপ্রিয় আইসক্রিম ব্র্যান্ড ‘ব্রুকলিন ক্রিমারি’-র মালিক। এই পরিবারটির শিকড় আরও গভীরে—রবি ঘাইয়ের পিতা আইকিউ গাই ছিলেন আইকনিক ‘কোয়ালিটি আইসক্রিম’ ব্র্যান্ড এবং মেরিন ড্রাইভের ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের প্রতিষ্ঠাতা।
রবি ঘাই মধ্যপ্রাচ্যে আইসক্রিম রপ্তানি এবং উৎপাদন ইউনিট গড়ে তোলার মাধ্যমে ব্যবসা আন্তর্জাতিক স্তরে ছড়িয়ে দেন। বর্তমানে পরিবারের নতুন প্রজন্মও এই ব্যবসায় সক্রিয়, যেমন সানিয়ার ভাই শিভান ঘাই যিনি স্বাস্থ্য-কেন্দ্রিক আইসক্রিম ব্র্যান্ড ‘ব্রুকলিন ক্রিমারি’ প্রতিষ্ঠা করেছেন। সানিয়া নিজেও একজন তরুণ উদ্যোক্তা, মুম্বই-ভিত্তিক ‘মিস্টার পজ পেট স্পা অ্যান্ড স্টোর এলএলপি’-এর পরিচালক ও পার্টনার।
অর্জুন ও সানিয়ার এই বাগদান দুই ভিন্ন ক্ষেত্রের সাফল্যের গল্পকে একত্রে বেঁধে দিল—একদিকে ভারতীয় ক্রিকেটের পজনপ্রিয় নাম, অন্যদিকে ভারতের শিল্পের শীর্ষে থাকা এক ব্যবসায়িক পরিবার।