দাম কমলো বেশ কিছু ওষুধের, স্বস্তি মধ্যবিত্তের
কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, যাতে সংশ্লিষ্ট ওষুধ প্রস্তুতকারক এবং বিক্রেতারা নতুন দামে পণ্য বিক্রি করেন।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:৩৮: চিকিৎসার খরচ নিয়ে চিন্তা আজকাল আমাদের নিত্যসঙ্গী। হাসপাতালে ভর্তির খরচ তো আছেই, তার উপরে ওষুধের দামও বহু সময় মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে এবার বড় স্বস্তির খবর দিয়েছে ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (NPPA)।
এই সংস্থা মোট ৩৫টি প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, অ্যান্টি-বায়োটিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ওষুধ। কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, যাতে সংশ্লিষ্ট ওষুধ প্রস্তুতকারক এবং বিক্রেতারা নতুন দামে পণ্য বিক্রি করেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, বেশ কিছু ওষুধের কম্বিনেশনের (formulation) দামের ওপর প্রভাব পড়বে। যেমন:
প্যারাসিটামল (paracetamol) ও ট্রিপসিন কাইমোট্রিপসিন (Trypsin Chymotrypsin)
অ্যামোক্সিসিলিন (Amoxicillin) ও পটাশিয়াম ক্লাভুল্যানেট
অ্যাটোরভাস্টাটিন (Atorvastatin) ও ক্লপিডোগ্রেল (Clopidogrel)
ড. রেড্ডিজ ল্যাবরেটরির একটি ওষুধ, যার মধ্যে অ্যাসিক্লোফেনাক, প্যারাসিটামল এবং ট্রিপসিন কাইমোট্রিপসিন রয়েছে, তার দাম ১৫.০১ টাকা থেকে কমিয়ে ১৩ টাকা করা হয়েছে।এনপিপিএ জানিয়েছে, ওষুধে প্রযোজ্য জিএসটি (GST) উল্লেখ থাকলে তা অবশ্যই যোগ করতে হবে। তবে মোট দাম আগের তুলনায় অনেকটাই কম হবে, যা রোগী ও তার পরিবারের জন্য স্বস্তির বিষয়।
কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রতিটি ওষুধের দোকানকে সাধারণের জন্য এই নতুন দাম স্পষ্টভাবে জানাতে হবে। অন্যথায় ড্রাগ প্রাইস কন্ট্রোল অর্ডার (DPCO) ও এসেনশিয়াল কমোডিটিস আইনের আওতায় ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।