নজরে সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা, নবান্নে জরুরি বৈঠকে একাধিক নির্দেশিকা মুখ্যমন্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:৫৩: রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে (Govt Hospital) ঘটছে একের পর এক অপ্রীতিকর ঘটনা। এই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার নবান্নে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনা বৈঠক। এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ, জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপাররা।
বৈঠক চলাকালীন ফোনে পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “SSKM-এ এত সিসি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও মনিটরিং কোথায়? যদি মনিটরিং ঠিকভাবে হত, তাহলে কীভাবে একজন যুবক চিকিৎসকের পোশাকে নাবালিকাকে পুরুষ শৌচাগারে নিয়ে যেতে পারল?” নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের ক্ষেত্রে সংস্থাগুলিকে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “একবার সাসপেন্ড হওয়ার পর কীভাবে অভিযুক্ত আবার একই সংস্থায় যোগ দিয়ে অন্য হাসপাতালে কাজ করতে পারে? রোগীদের ওয়ার্ডে সতর্ক থাকতে হবে, প্রয়োজনে সাবধান করতে হবে। পরিচয়পত্র দেখানো বাধ্যতামূলক করতে হবে, এমনকি প্রিন্সিপাল ও সুপারদেরও।”
তিনি আরও বলেন, নিয়োগের পর কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি। হাসপাতালের প্রতিটি কোণ যেন পর্যাপ্ত আলোয় আলোকিত থাকে এবং সিসিটিভি ক্যামেরা কার্যকর অবস্থায় থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। কোনও ক্যামেরা নষ্ট হলে তা অবিলম্বে বদলে ফেলার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ, নির্ধারিত পোশাক পরিধান এবং ডিউটি রোস্টার বজায় রাখার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কর্মীদের নিয়োগের আগে তাঁদের পূর্ববর্তী কাজের রেকর্ড খতিয়ে দেখার পরামর্শও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, যাতে ভবিষ্যতে কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানো যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা, “রোগী, কর্মী, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে- নিরাপত্তা কোনওভাবেই শিথিল করা যাবে না।” প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ভবিষ্যতে হাসপাতালগুলিতে নজরদারি আরও জোরদার করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। তাঁর মতে, ভবিষ্যতে কোনও কর্মীকে নিয়োগের আগে তাঁর অতীত কাজের রেকর্ড খতিয়ে দেখা আবশ্যক। কর্মীদের ইউনিফর্ম এবং ডিউটি রোস্টার নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে, যাতে হাসপাতালের ভিতরে কারা, কখন প্রবেশ বা প্রস্থান করছেন, তা স্পষ্টভাবে জানা যায়।