করোনায় চলে গেলেনআউধের শেষ নবাব ওয়াজিদ আলি শাহের বংশধর
বেশ কয়েকদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর এদিন হার মানেন। স্ত্রী, দুই ছেলে এবং চার মেয়েকে রেখে গেলেন তিনি। তাঁর স্ত্রী লখনউয়ের বিখ্যাত বংশের মহিলা।

রাজনৈতিক জগতের বিরাট ব্যক্তিত্ব কিংবা বিনোদন জগতের বিশ্বখ্যাত তারকা, করোনা (Coronavirus) রেয়াত করছে না কাউকেই। এবার এই মারণ ভাইরাস প্রাণ কাড়ল নবাব ওয়াজিদ আলি শাহের বংশধর সাজ্জাদ আলি মির্জা। রবিবার সন্ধেয় কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
আউধের (Awadh) শেষ নবাব ছিলেন ওয়াজিদ আলি শাহ (Wajid Ali Shah)। দীর্ঘ ৯ বছর রাজত্ব করেছিলেন। শাহী বিরিয়ানির জনক হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছিলেন। তাঁরই পো-পৌত্র নবাব বিরজিস কাদরের নাতি হলেন এই সাজ্জাদ আলি মির্জা। গত সপ্তাহেই করোনা টেস্ট করিয়েছিলেন বছর সাতাশির বৃদ্ধ। তখনই জানা যায়, তাঁর শরীরে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর এদিন হার মানেন। স্ত্রী, দুই ছেলে এবং চার মেয়েকে রেখে গেলেন তিনি। তাঁর স্ত্রী লখনউয়ের বিখ্যাত বংশের মহিলা।
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উর্দু নিয়ে ডক্টরেট পাশ করেছিলেন সাজ্জাদ আলি মির্জা। তারপর সেখানেই উর্দু ভাষার অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৯৩ সালে অবসর নেন। বর্তমানে তিনি কলকাতার বাসিন্দাই ছিলেন। কলকাতার মেটিয়াবুরুজ এলাকার সিবতোনাবাদ ইমামবাড়া ট্রাস্টের সিনিয়র ট্রাস্টি ছিলেন তিনি। এখানেই তাঁর পূর্বপুরুষ ওয়াজিস আলিকে সমাধিস্ত করা হয়েছিল। সাজ্জাদ আলি মির্জার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ট্রাস্টের অন্যান্য সদস্যরাও।
লকডাউন, সোশ্যাল ডিসটেন্সিং-সহ সব নিয়মবিধি মেনেও যেন বাগে আসছে না সংক্রমণ। এদিনই যেমন স্বাস্থ্যদপ্তর জানায়, ফের রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়ায় ৩ হাজারের গণ্ডি। প্রাণ হারান ৫৮ জন। সুস্থতার হার ঊর্ধ্বমুখী হলেও করোনা আতঙ্ক নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে মানুষের মনে।