বাংলায় একশো দিনের কাজ চালু সংক্রান্ত হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম দুয়ারে কেন্দ্র
উচ্চ আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কেন্দ্রীয় সরকার শীর্ষ আদালতে গেল। চলতি সপ্তাহে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:৩০: বাংলায় ১০০ দিনের কাজ চালু করা নিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হল কেন্দ্র সরকার (Central Government)। চলতি বছরের ১ আগস্ট থেকে বাংলায় ১০০ দিনের কাজ শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। উচ্চ আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কেন্দ্রীয় সরকার শীর্ষ আদালতে গেল। চলতি সপ্তাহে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
গত তিন বছর ধরে বাংলায় ১০০ দিনের কাজ (MGNREGA) বন্ধ হয়ে রয়েছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে টাকা আটকে রাখার অভিযোগে সরব বাংলা শাসক দল। দুর্নীতির অভিযোগে এ রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। জুন মাসে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায় দাসের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, দুর্নীতি রুখতে রাজ্য সরকারকে যেকোনও শর্ত দিতে পারবে কেন্দ্র। তবে ১০০ দিনের কাজ আবার শুরু করতে হবে। সমগ্র প্রকল্পটিকে বন্ধ করে রাখা যাবে না। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এখন প্রকল্পের কাজ চালু করা হোক।’’
প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানায়, বাংলায় ১০০ দিনের কাজ নিয়ে একাধিকবার হাইকোর্টে শুনানি হয়েছে। রাজ্যের দুর্নীতি, অনিয়ম, কেন্দ্রীয় দল নিয়ে আদালত কিছু বলছে না। কিন্তু যাঁরা কাজ করতে পারছেন না বা কাজ করেও যাঁরা প্রাপ্য পাচ্ছেন না, তাঁদের কেন ভুগতে হবে? কেন কাজ আটকে রাখা হবে? প্রয়োজনে যে চার জেলা থেকে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে, সেই জেলা বাদ দিয়ে বাকি অংশে ১০০ দিনের কাজ চালু করার কথা বলে উচ্চ আদালত। আদালত জানায়, জনস্বার্থে এই কাজ চালু হওয়া দরকার।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে বাংলায় ১০০ দিনের কাজের মজুরি দেওয়া হচ্ছে না, এই অভিযোগ এনে হাইকোর্টে মামলা করেছিল পশ্চিমবঙ্গ খেতমজুর সমিতি। মামলাকারীদের তরফে আবেদন করা হয়, এখনও পর্যন্ত যা বকেয়া মজুরি, সেই টাকা অবিলম্বে মিটিয়ে দেওয়া হোক। তা ছাড়া এত দিন টাকা বন্ধ করে রাখার জন্য ০.০৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়ারও দাবি জানানো হয়।