প্রয়াত মিয়া খালিফা? ফেসবুকে মেমোরিয়াল, মিমের বন্যা
মিয়ার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলও হ্যাক করেছিল আইসিস। পরে অবশ্য ইনস্টাগ্রামের তরফে সেই প্রোফাইল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ছিল রুমাল হয়ে গেল বেড়াল! রাতারাতি মিয়া খলিফার ফেসবুক প্রোফাইল বদলে গেল মেমোরিয়াল প্রোফাইলে। লেখা হল, রিমেমবারিং মিয়া খালিফা! হইচই পড়ে গিয়েছিল তাঁর ৪.২ মিলিয়ন ভক্তের মধ্যে। এমন দুঃসংবাদও শুনতে হল! এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে তখনও ফেসবুকে মিয়া খলিফার ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট মেমোরিয়াল অ্যাকাউন্ট হিসেবেই রয়েছে। এই নিয়ে বিভ্রান্তি যখন চরমে, তখন টুইটারে মুখ খুললেন স্বয়ং মিয়া খলিফা। তাঁর মৃত্যুর খবরকে বেশ স্টাইলেই উড়িয়ে দিলেন মিয়া। মিম শেয়ার করে ভক্তদের আশ্বস্ত করলেন। ১৯৭৫ সালে মুক্তি পাওয়া ইংরেজি ছবি Monty Python and The Holy Grail-এর একটি দৃশ্যের মিম তৈরি করলেন মিয়া। লিখলেন, ‘‘আমি এখনও মরিনি। বেশ ভালোই আছি।’’ তবে তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে নাকি কেউ মজা করেছে সে বিষয়ে মুখ খোলেননি মিয়া খলিফা।
সেলেব্রিটিদের ভুয়ো মৃত্যু সংবাদ মাঝেমধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেটের দৌলতে। তবে মিয়া খলিফার এমন অভিজ্ঞতা এই প্রথম নয়। ২০২০ সালেও একবার খবর রটেছিল মারা গেছেন অ্যাডাল্ট স্টার মিয়া খলিফা। তিনি নাকি আত্মহত্যা করেছেন। সেবারও বিষয়টা মজার ছলেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। উল্টে লিখেছিলেন, ‘‘আমি কিন্তু হিসেব রাখছি। আমার বন্ধুদের এটা ভাবার কারণ নেই যে তাঁদের পাঠানো শোকবার্তা ও ফুলের হিসেব আমি রাখছি না।’’
তবে মজার বাইরে একবার ISIS-এর থেকে খুনের হুমকি পেয়েছিলেন Mia Khalifa। মিয়ার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলও হ্যাক করেছিল আইসিস। পরে অবশ্য ইনস্টাগ্রামের তরফে সেই প্রোফাইল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
২০২১ সালে জনপ্রিয় পর্ন তারকা মিয়া খলিফার টিকটক অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করে পাকিস্তান। অভিনেত্রীকে আগাম কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি বলেই দাবি করেছিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় গোটা বিষয়টি এক ভক্ত তাঁকে জানান। ঘটনাটি জানার পর তাজ্জব বনে যান মিয়া। লেখেন, ‘LMAOO, দে হোয়াট!’
ব্যাপারটা নিয়ে যখন ফেসবুক কিংবা টুইটার চত্বরে আলোচনা তুঙ্গে তখন মিয়া লেখেন, ‘টিকটক অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে? তাতে কী? আমি নিজের পাকিস্তানি ফ্যানদের জন্য টুইটারে এবার থেকে একই ভিডিয়ো আপলোড করব। সেটাই হবে ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে আমার প্রতিবাদ।’
বরাবরই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়ে থাকেন মিয়া খলিফা। আল আকসা মসজিদের উপর ইজরায়েলি হামলার পর অভিনেত্রী একাধিক টুইট করেন। তিনি বলেছিলেন, ‘জোর গলায় বলছি প্যালেস্টাইনকে মুক্ত করা হোক। জোর গলায় এটাও বলছি যে লেবাননের জন্য প্রার্থনা করুন।’ এর পরিপ্রেক্ষিতে এক টুইটার ইউজার লেখেন, ‘আপনি জানেন না কী নিয়ে কথা বলছেন। পৃথিবীর অপর প্রান্তে বসে প্রতিবাদ করা যায়। কিন্তু ঘটনাস্থলে থাকার অভিজ্ঞতা আলাদা।’ সঙ্গে সঙ্গে মিয়ার প্রত্যুত্তর, ‘আপনি ঠিকই বলেছেন। আমি আজ সত্যিই নিরাপদে ঘুমানোর সুযোগ পাব। কিন্তু আমার আজও মনে আছে সাইরেন বেজে ওঠা সেই দিনগুলো।