কলকাতায় মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন কমে হল ২৯

১৪ নম্বর বরোর ১২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৪টি মাইক্রো কনটেইনমেন্ট রয়েছে।

January 12, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
ছবি: প্রতীকী

টানা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পর শহরে এক ধাক্কায় অনেকটা কমল সংক্রামিত এলাকা বা মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট। কলকাতা পুরসভার মঙ্গলবারের রিপোর্ট অনুযায়ী, শহরে ২৯টি মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট করা হয়েছে। সোমবার, ৫০টি কন্টেইনমেন্ট জোন কমে ৪৬-এ নেমেছিল। এবার অনেকটাই কমে সংক্রামিত এলাকার সংখ্যা হয়েছে ২৯টি। ফুলবাগান, মানিকতলা, ভবানীপুর, বালিগঞ্জ, টালিগঞ্জ, বন্দরের কিছু অংশ, বেহালার সরশুনা এলাকায় এই মাইক্রো কন্টেইনমেন্টগুলি ছড়িয়ে রয়েছে।


এদিন সাংবাদিকদের কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা পুর এলাকায় ৬৫৬৫ জন পজেটিভ হয়েছেন। তবে, কন্টেইনমেন্ট জোন বা মাইক্রো কন্টেইনমেন্টের সংখ্যা কমেছে। গত এক সপ্তাহে অনেকেই সুস্থ হয়েছেন। তাই এই সংখ্যা কমেছে। যদিও, ঢিলেমি দেওয়ার কোনও অবকাশ নেই। শহরের সর্বত্র নাগরিককে নিয়ম বিধি মেনে চলার আর্জি জানিয়েছেন মেয়র। 


মূলত ৩, ৮, ৯, ১০, ১৩ ও ১৪ নম্বর বরো এলাকাতেই কন্টেইনমেন্টগুলি সীমাবদ্ধ। সবথেকে বেশি সংক্রমিত এলাকা রয়েছে ফুলবাগান এবং মানিকতলা এলাকায়। ৩১ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে আছে ৭টি সংক্রামিত অঞ্চল। যা বরো ৩ নম্বরের অন্তর্গত। এর পরেই রয়েছে ৯ নম্বর বরো। যেখানে দক্ষিণ এবং পশ্চিম বন্দর এলাকায় সবথেকে বেশি সংক্রমণ মাথাচাড়া দিয়েছে। এখানে রয়েছে ৮টি মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট। রয়েছে বালিগঞ্জ, ভবানীপুর এবং টালিগঞ্জ এলাকা। ৮ নম্বর বরো অন্তর্গত এখানকার ৬৯, ৭০ ও ৮৭ ওয়ার্ড মিলিয়ে মোট পাঁচটি মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য, এর মধ্যে ৬৯ নম্বর ওয়ার্ড বর্তমানে কলকাতার মধ্যে সংক্রমনের শীর্ষে। সেখানে গত দু’সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭০০ ছাড়িয়েছে বলেই পুরসভা সূত্রে খবর। পাশাপাশি রয়েছে বেহালা এলাকা। সেখানে ১৪ নম্বর বরোর ১২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৪টি মাইক্রো কনটেইনমেন্ট রয়েছে।


স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন, গত দুই ঢেউয়ের মতো এবার তৃতীয় ধাক্কাতেও কাবু হয়েছে শহরের উচ্চ মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত এলাকার। সেই অর্থে বস্তি কিংবা নিম্নবিত্ত এলাকার তুলনায় বড় বড় আবাসন এবং ফ্ল্যাটে সংক্রমনের প্রকোপ তীব্র। এই বিষয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, একটা নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে বহু লোক থাকছেন। সেই কারণেই সম্ভবত আবাসনে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। 
ইতিমধ্যেই, পুরসভা শহরের ১০টি ওয়ার্ড চিহ্নিত করেছে। যেখানে নিত্যদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সেই এলাকা নিয়ে নিয়মিত রিভিউ চলছে। কিন্তু, সেখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে অবশ্য এখনই বাজার বন্ধের পরিকল্পনা নেই, জানিয়েছেন ফিরহাদ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen