MiG-21 Fighter Jet: ছ’দশক পর অবসরের পথে বায়ুসেনার ‘উড়ন্ত কফিন’

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:৪৮: মুক্তিযুদ্ধ থেকে কার্গিল, একের পর এক যুদ্ধে ভারতীয় বায়ুসেনার ভরসা হয়ে উঠেছিল মিগ-২১। ভারতীয় বায়ুসেনার ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কর্মরত যুদ্ধবিমান। এবার তার কার্যকাল শেষ হতে চলছে। আগামী সেপ্টেম্বরেই চিরবিশ্রামে যাবে মিগ-২১। এসে গিয়েছে তেজস এমকে১এ যুদ্ধবিমান, অ্যাপাচে কপ্টার। উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৫ মাসের অপেক্ষার অবশেষে পর ভারতীয় সেনার হাতে এসেছে ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’ অ্যাপাচে কপ্টার। এ বছরের সেপ্টেম্বরে চণ্ডীগড়ের বায়ুসেনাঘাঁটি থেকে শেষবারের মতো উড়বে মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমান। তারপর সামরিক বা অসামরিক আর কোনও কাজে ব্যবহার করা হবে না এই যুদ্ধবিমান।
সেকালের সোভিয়েত ইউনিয়নের বিমান নির্মাতা সংস্থা মিকোয়ান-গুরেভিচ অ্যারোস্পেস কর্পোরেশন ১৯৫৫ সালে প্রথম মিগ যুদ্ধবিমান তৈরি করে। ছয়ের দশকে মিগ-২১ এফএল ভারতের হাতে আসে। বিভিন্ন সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে মোট ৮৭৪টি মিগ-২১ কিনেছে ভারত। সে দেশের প্রযুক্তিগত সাহায্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান নির্মাণকারী সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্যাল লিমিটেড ভারতের মাটিতে ৬৫৭টি বিমান তৈরি করেছে। বর্তমানে ৩৬টি মিগ-২১ রয়েছে দেশের বায়ুসেনার হাতে। ১৯৬৫ এবং ১৯৭১-র ভারত-পাক যুদ্ধ, ১৯৯৯ সালের কার্গিল, বালাকোট স্ট্রাইক এবং অপারেশন সিঁদুরেও এই যুদ্ধবিমান ব্যবহৃত হয়েছে।
বায়ুসেনার ভরসা হয়ে ওঠা এই বিমানেই আবার ৬০ বছরে ৪০০টি দুর্ঘটনায় ২০০ জন পাইলটের মৃত্যু হয়েছে। যে কারণে ‘উড়ন্ত কফিন’ নামে পরিচিতি পায় এই যুদ্ধবিমান। ৬০-র বেশি সাধারণ নাগরিকেরও প্রাণ গিয়েছে মিগ-২১-র কারণে। প্রয়াত বায়ুসেনা আধিকারিক অভিজিৎ গ্যাডগিলের জীবন অবলম্বনে তৈরি হয়েছিল আমির খান, অভিনীত বিখ্যাত সিনেমা ‘রং দে বসন্তী’। উল্লেখ্য, ২০০১ সালে মিগ-২১ ভেঙেই মৃত্যু হয়েছিল ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট অভিজিতের। এবার থেকে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই পাবে মিগ-২১!