কীভাবে আরতি হয়ে উঠেছিলেন শহরের সন্ধ্যা-রাতের শেফালী?

তরুণকুমার তাঁকে মঞ্চে একের পর এক নাটকে পার্ট দিয়েছেন। তাঁর নামেই টিকিট বিক্রি হত। শেফালীর কলকাতার ক্যাবারে রানি হওয়ার নেপথ্যে কী ছিল?

February 6, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সাধারণ বার-নর্তকী শেফালী হয়ে উঠেছিলেন সত্যজিতের ছবির নায়িকা। মানিকবাবুর প্রতিদ্বন্দ্বী ও সীমাবদ্ধ ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। তরুণকুমার তাঁকে মঞ্চে একের পর এক নাটকে পার্ট দিয়েছেন। তাঁর নামেই টিকিট বিক্রি হত। শেফালীর কলকাতার ক্যাবারে রানি হওয়ার নেপথ্যে কী ছিল?

শেফালীর পরিবার ছিল দেশভাগ পীড়িত, স্বাধীনতা বদলে দিয়েছিল তাদের জীবনকেও। তখন অবশ্য তিনি কয়েক মাসের আরতি। তারপর এ দেশে বেড়ে ওঠা, সঙ্গে অর্থাভাব, অনটন। বাবা শয্যাশায়ী। ফিরিঙ্গি বাড়িতে কাজের মেয়ে হয়ে ঢুকে পড়ল সে। দু-বেলার দু’মুঠো আহারের বন্দোবস্ত হল। সাহেব বাড়িতে পার্টি হত, নাচ-গানের আসর বসত। দেখে দেখে তা শিখতে শুরু করলেন আরতি। এক সাহেবের চোখে পড়ল আরতিকে, তিনিই নিয়ে গেলেন পার্ক স্ট্রিটের বিখ্যাত রেস্তোরাঁ ফারপোজে। মাসিক ৭০০ টাকা বেতনের চাকরি জুটল, আরতি দাস হয়ে উঠলেন মিস শেফালি।

বাংলার প্রথম এবং একমাত্র ক্যাবারে ডান্সার তখন শেফালী। চার্লসটন, টুইস্ট, বেলি ডান্স শিখলেন। ফারপোজের পর ওবেরয় গ্র্যান্ডে জায়গা পেলেন। বিংশ শতকের কলকাতায় তখন ক্যাবারে-রানি শরীরের ভাঁজে মধ্যরাত নামত। প্রায় দু-আড়াই দশক সুদিন ছিল। তারপর একদিন সব আলো সরতে আরম্ভ করল। একে একে আলো সরে, অভাব জাঁকিয়ে বসল শেফালীর জীবনে। জীবন সায়াহ্নে সেই অভাবের মধ্যে চলে যান শেফালী।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen