মোদীকেও কি বাংলা বলার অপরাধে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হবে! কটাক্ষ তৃণমূলের

দুর্গাপুরের সভার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে শোনা গেল না রামনাম। দীর্ঘ বক্তব্যে একবারও রামকে স্মরণে নিলেন না তিনি।

July 18, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:০৯: সম্প্রতি সিঙারা, জিলিপি নিয়ে কেন্দ্রের সতর্কীকরণ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার, বেনজির ভাবে কেন্দ্রের ফতোয়ার প্রতিবাদে সাংবাদিক বৈঠকেই সিঙাড়া-জিলিপি-ফিশফ্রাই (Singara-Fishfry-Jilipi) নিয়ে বসলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) ও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সকালে সাংবাদিক বৈঠকে শশী পাঁজাও সিঙাড়া-জিলিপি নিয়েই সাংবাদিক বৈঠকে বসেন।

এদিন দুর্গাপুরের সভার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে শোনা গেল না রামনাম। দীর্ঘ বক্তব্যে একবারও রামকে স্মরণে নিলেন না তিনি। আর সেখান থেকেই খোঁচা বাংলার শাসকদল তৃণমূলের। এদিন বিকেলে দলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ও রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই খোঁচা দেওয়া হয়েছে, নরেন্দ্র মোদী বাংলায় এসেছেন বলেই একবারও রামের নাম নিলেন না! দেবী দুর্গা, দেবী কালীর নাম নিয়েছেন তিনি। তাহলে কি এবার রাম স্মরণ থেকে সরছে বঙ্গ বিজেপি? ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের প্রচারে বাংলায় রাম মন্দির নিয়ে প্রচারে ঝড় তুলেছিল বঙ্গ বিজেপি। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ থেকে বিজেপির প্রথম সারির নেতারা বঙ্গে ভোটপ্রচারে এসে রামমন্দিরের প্রচার করেছিলেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও বারেবার রামের শরণাপন্ন হন। কিন্তু তারপরও ইভিএম মেশিনে বঙ্গ বিজেপি কোনও আশানুরূপ ফল করেনি। বরং ২০১৯ সালের থেকেও গত লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপির আসনসংখ্যা কমেছে।

দুর্গাপুরের সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে ৫ হাজার ৪০০ কোটির প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। সভা শেষ হতেই পালটা দিল শাসকদল। তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) খোঁচা, “দৃশ্যমান বকেয়া দিচ্ছেন না, অদৃশ্য ৫ হাজার কোটি দেখিয়ে গেলেন!”

কেন্দ্র বকেয়া দিচ্ছে না, এই অভিযোগে বহুবছর ধরে সোচ্চার হচ্ছে রাজ্য। বহুবার তা নিয়ে সরব হয়েছেন খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদিকে চিঠিও লিখেছেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। এরই মাঝে শুক্রবার দুর্গাপুরে সরকারি সভা থেকে ৫ হাজার ৪০০ কোটির প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলেছেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলেই বাংলা দেশের অন্যতম শিল্পসমৃদ্ধ রাজ্য হয়ে উঠবে। এটা তাঁর বিশ্বাস। তৃণমূল বাংলাকে শিল্পোন্নত হতে দিচ্ছে না বলেও দাবি করেছেন তিনি। তা নিয়েই এদিন পালটা একহাত নিলেন কুণাল।

এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে হাজার হাজার কোটির প্রকল্পের শিলান্যাস নিয়েই প্রশ্ন তুললেন কুণাল। মোদিকে ‘মিথ্যাচারি’ বলে তোপ দেগে তিনি বললেন, “একজন প্রধানমন্ত্রী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একরাশ মিথ্যে তথ্য দিয়ে গেলেন। উন্নয়ন নিয়ে কতটা মিথ্যাচার করলেন… কী আর বলব। উনি খালি হাতে এসে বড় বড় কথা বলছেন কেন? বাংলার ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি বকেয়া পাওনা। সেটা উনি দিচ্ছেন না। একশো দিনের কাজ করিয়েও টাকা দেননি। আবাসের টাকা দেননি। সবটা রাজ্য সরকার দিয়েছে।”

দুর্গাপুরের (Durgapur, PM Meeting) জনসভায় বক্তৃতা শুরু করলেন সম্পূর্ণ বাংলায়, ‘‘বড়দের প্রণাম, ছোটদের ভালবাসা, জয় মা কালী, জয় মা দুর্গা’’ উচ্চারণ করে। বাংলায় এসে বাংলা কথা বলে বাঙালিদের মন জিততে চেষ্টা করা মোদীকে বাংলার শাসকদলের প্রশ্ন, তবে নরেন্দ্র মোদীকেও কি বাংলা বলার অপরাধে ডিটেনশন ক্যাম্পে (detention camp) আটকে রাখা হবে?

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen