“জয় শ্রী রাম”-এ ভরসা নেই! ২৬শের আগে মোদীর কালী স্লোগান ধোকলায় বিদ্ধ বাংলা
“জয় মা কালী, জয় মা দুর্গা”র উচ্চারণ তাঁকে এই বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হওয়া, এবং ‘বাঙালি’ হতে চাওয়ার মরিয়া চেষ্টা।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:২৬: শুক্রবার দুর্গাপুরের (Durgapur) সভায় ‘জয় মা কালী, জয় মা দুর্গা’ বলে ভোট-লাভের চেষ্টা? মোদীকে এভাবেই সরাসরি আক্রমণ করল তৃণমূল (TMC)। তৃণমূলের সংযোজন, মোদীর বক্তব্যকে নির্বাচনী কৌশল, বাংলার মন জয় করার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:২৬:শুক্রবার দুর্গাপুরের (Durgapur) সভায় ‘জয় মা কালী, জয় মা দুর্গা’ বলে ভোট-লাভের চেষ্টা? মোদীকে এভাবেই সরাসরি আক্রমণ করল তৃণমূল (TMC)। তৃণমূলের সংযোজন, মোদীর বক্তব্যকে নির্বাচনী কৌশল, বাংলার মন জয় করার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।
এ বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর মা কালীকে স্মরণ করার এই চেষ্টা বেশ দেরিতে এল। মা কালী ধোকলা খান না, কোনওদিন খাবেনও না।” তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে। গুজরাতের জনপ্রিয় খাবার ধোকলার উল্লেখ করে মহুয়া মোদীর রাজ্য এবং বাংলার খাদ্য-সংস্কৃতির তফাৎ তুলে ধরেছেন।
এই প্রথম নয়, এর আগেও মহুয়া বিজেপির বিরুদ্ধে খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, বাংলার বহু কালীমন্দিরে ভোগ হিসাবে মাছ বা অন্যান্য আমিষ প্রসাদ দেওয়া হয়, যা গুজরাত বা উত্তর ভারতের আমিষবিরোধী সংস্কৃতির বিপরীত। এর ফলে তিনি মনে করেন, বিজেপি বাঙালির খাদ্য-পছন্দকে অবজ্ঞা করছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, প্রধানমন্ত্রী সাধারণত “জয় শ্রী রাম” স্লোগানেই বেশি ভরসা রাখেন। কিন্তু বাংলার নির্বাচনের মঞ্চে “জয় মা কালী, জয় মা দুর্গা”র উচ্চারণ তাঁকে এই বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হওয়া, এবং ‘বাঙালি’ হতে চাওয়ার মরিয়া চেষ্টা।
উল্লেখ্য, এর আগে, দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কে একটি মাছের বাজার সংলগ্ন এলাকায় ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে মহুয়া অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপি-ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যক্তি বাঙালি ব্যবসায়ীদের হুমকি দিচ্ছেন।
বলা বাহুল্য, এ সব বিতর্কের মাঝে রাজনৈতিক মহলে শোনা যাচ্ছে, বিজেপি সব অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও ভারতের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে বাংলার খাদ্যাভ্যাস-সাংস্কৃতির পার্থক্য যেন কোথায় রয়েই যায়।