MGNREGA: আদালতের নির্দেশের পরেও বাংলায় ১০০ দিনের কাজ চালু নিয়ে হেলদোল নেই মোদী সরকারের?
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ দিয়েছে, অবিলম্বে বাংলায় ১০০ দিনের কাজ চালু করতে হবে। কিন্তু তারপরেও নিরুত্তাপ কেন্দ্র। বারো দিন কেটে গিয়েছে। মোদী সরকার অনড়। কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ করা হয়নি।
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:৩০: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বাংলায় একশো দিনের কাজ বন্ধ। কাজ করিয়ে নেওয়ার পরেও টাকা মেটায়নি মোদী সরকার। নিজেদের কোষাগার থেকে টাকা মিটিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রাপ্যের দাবিতে রাজধানীতেও পৌঁছেছিল বাংলার আন্দোলনের ঢেউ।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ দিয়েছে, অবিলম্বে বাংলায় ১০০ দিনের কাজ চালু করতে হবে। কিন্তু তারপরেও নিরুত্তাপ কেন্দ্র। বারো দিন কেটে গিয়েছে। মোদী সরকার অনড়। কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ করা হয়নি।
বরাদ্দ ঘোষণা, শ্রমদিবস জানানো, মনরেগা আইনের আওতায় দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে আরোপ করা ২৭ নম্বর ধারা এখন পর্যন্ত প্রত্যাহার করা হয়নি। রাজ্য সরকার সব শর্ত পূরণ করেছে। এবার আদালতের নির্দেশের পরও আমল দিচ্ছে না বিজেপি সরকার। বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রাজনৈতিক স্বার্থেই আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে বাংলাকে ভাতে মারার চক্রান্ত চালিয়ে যাবে দিল্লি?
দিল্লির বাতাসে খবর ভাসছে, শিবরাজ সিং চৌহানের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক প্রধানমন্ত্রীর সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষায় রয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করা হবে? নাকি মেনে নেওয়া হবে? এই নিয়েই ধন্দে কেন্দ্র।
গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব শৈলেশকুমার সিং বাংলার এক দৈনিক পত্রিকাকে জানিয়েছেন, তিনি কিছু বলতে পারবেন না। এখনও কিছু ঠিক হয়নি। বাংলার পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের কথায়, আদালত কান মুলে দেওয়ার পরেও কোনও বার্তা আসেনি। কেন্দ্রের এই বঞ্চনা সব সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে।
সোমবার, গ্রামোন্নয়ন সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিরোধী সাংসদরা দাবি তুলেছেন, বাংলায় ১০০ দিনের কাজ আদালত নির্ধারিত ১ আগস্ট থেকেই শুরু করতে হবে। বাংলায় ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজ বন্ধ এবং টাকা আটকে রাখার বিষয়টি ওঠে বৈঠকে। সাফ কথায় কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়ছে। এখন দেখার বাংলাকে বঞ্চিত করার ফন্দি থেকে মোদী সরকার সরে আসে কি-না।