চব্বিশের ভয়ে অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে মোদী সরকার, অভিযোগ INDIA-র
‘দিল্লি সার্ভিসেস বিল’ সংক্রান্ত প্রস্তাব রাজ্যসভায় পেশ করার সময় পাঁচ সাংসদের সই জাল করার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আম আদমি পার্টির এমপি রাঘব চাড্ডাকে শুক্রবার বরখাস্ত করা হয় রাজ্যসভা থেকে। স্বাধিকার রক্ষা (প্রিভিলেজ) কমিটি যত দিন না এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিচ্ছে, তত দিন রাঘবকে রাজ্যসভা থেকে বরখাস্ত হয়েই থাকতে হবে। ‘দিল্লি সার্ভিসেস বিল’ সংক্রান্ত প্রস্তাব রাজ্যসভায় পেশ করার সময় পাঁচ সাংসদের সই জাল করার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি বলেন, ‘ভিন্ন মতের গলা টিপে দেওয়ার জন্য প্রিভিলেজ মোশনের অস্ত্র ব্যবহার করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।’ ‘গণতন্ত্রের উপর প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই আক্রমণ INDIA’কে নিরস্ত করতে পারবে না।’
উল্লেখ্য, INDIA জোটের পাঁচ সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, অধীররঞ্জন চৌধুরী, জয়রাম রমেশ, সঞ্জয় সিং এবং রাঘব চাড্ডাকে এই বাদল অধিবেশনে বরখাস্ত করা হয়। স্বাধিকার রক্ষা (প্রিভিলেজ) কমিটিতে বিষয়গুলি পাঠানো হয়েছে।
যাবতীয় অভিযোগ আগেই অস্বীকার করেছিলেন রাঘব চাড্ডা। তিনি জানিয়েছিলেন, একজন সাংসদ কোনও কমিটি তৈরির ক্ষেত্রে নাম সুপারিশ করতেই পারেন। তবে সেখানে সেই ব্যক্তির সই বা তাঁর সম্মতির প্রয়োজন হয় না। সেই সঙ্গে তিনি জন্মদিনের পার্টির কথা উল্লেখ করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ধরুন আমি জন্মদিনের পার্টি করছি। ১০জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। ৮জন এলেন আর ২জন এলেন না। আর তারা আমায় বললেন আপনার এত সাহস আমাদের নেমন্তন্ন করেছেন? এটাই এখানে হয়েছে। আমি শুধু তাঁদের এই কমিটির সদস্য হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। রাঘব বলেন, ‘‘একজন ৩৪ বছর বয়সি সাংসদ তাঁদের তাবড় নেতাদের ঘোল খাইয়ে দিচ্ছেন, এটা বিজেপির পক্ষে মেনে নেওয়া কঠিন!’’
অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের সংবিধান বেঞ্চের রায় খারিজ করে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে কেন্দ্রের হাতেই নিরঙ্কুশ ক্ষমতা রাখতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে খারিজ করতে সরকার যে বিল সংসদে পেশ করেছে তাতে বলা হয়েছে, সিলেকশন কমিটিতে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত দ্বিতীয় কোনও মন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা। অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে ওই তিন জনের কমিটিতে রাখা হবে না। পরিবর্তে সরকারেরই এক জন মন্ত্রী থাকবেন। যার স্পষ্ট অর্থ হল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বাছাইয়ে কেন্দ্রের সরকারের অধিকার নিরঙ্কুশ থাকবে। বিরোধী দলনেতা বড়জোর ডিসেন্ট নোট দিতে পারবেন, তার অতিরিক্ত ক্ষমতা তাঁর থাকবে না।
এই বিষয়ে ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিল এনে ভারতের নির্বাচন কমিশনকে একটা রাজনৈতিক দলের প্রাইভেট এজেন্সিতে পরিণত করতে চাইছে বিজেপি। ২০২৪ সালের লোকসভায় দুশোর কম আসন পাওয়ার ভয়ে এসব শুরু করেছে তারা।”