খাবার ও বহুবিধ পণ্য বিক্রি করে লক্ষ্মীলাভ মহিলা পরিচালিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির
জেলার ৩১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ২৮০টি জায়গায় দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প হবে।
Authored By:

কেউ নিয়ে বসেছেন শাড়ি। কেউবা আচারের স্টল। আবার কোথাও ফুচকার গাড়ি নিয়ে হাজির দিদিরা। এমনকী জাঙ্ক জুয়েলারির পসার নিয়েও হাজির কেউ কেউ। ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে এমনই সব খাবার ও পণ্যের স্টল সাজিয়ে হাজির স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, জাতিগত শংসাপত্রের আবেদনের কাজ মিটিয়ে সেই সব স্টল থেকে খাওয়াদাওয়া সেরে বা কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরছেন অনেকেই। আর এসব বিক্রি করে দু’সপ্তাহে সাত লক্ষ টাকা আয় করেছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।
জেলার ৩১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ২৮০টি জায়গায় দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প হবে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি শিবির হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি শিবিরের সামনেই বসেছে এক বা একাধিক স্টল। জেলার গ্রামোন্নয়ন বিভাগ এই স্টলের নাম দিয়েছে ‘আমাদের সম্ভার’। প্রতি শিবিরে অন্তত একটি খাবারের স্টল ও একটি পণ্যের স্টল দেওয়ার জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো গোষ্ঠীর মহিলারা বিভিন্ন জিনিস নিয়ে স্টলে বসেন। এই স্টলে খাবার বলতে মিলছে ঝালমুড়ি, মধু, পাপড় ইত্যাদি। বিষ্ণুপুর ১নং, ডায়মন্ডহারবার, বজবজ ২নং, বারুইপুর, সাগর সহ বেশ কিছু ব্লকে ভালোই বিক্রিবাটা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রতিদিন অবশ্য স্টলের সংখ্যা এক থাকে না। কোনওদিন শতাধিক, কোনওদিন আবার পঞ্চাশের মতো। তবে বিক্রিতে ভাটা পড়েনি একদিনও। ক্যাম্প শুরুর প্রথম দিকে দিনে লক্ষাধিক টাকার বিক্রি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জেলার আধিকারিকরা বলেন, জায়গা অনুযায়ী পণ্য ও খাবার বাছাই করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা আয় হয়েছে, তাতে গতবারের হিসেবকে ছাপিয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এক আধিকারিক বলেন, আগেরবার আড়াই-তিন লক্ষ টাকার মধ্যে বিক্রিবাটা হয়েছে। যদিও সেবার দেরিতে স্টল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এবার ক্যাম্প শেষে আয়ের পরিমাণ ১০ লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।