উলুবেড়িয়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, ভোটের কাজ থেকে সরাল নির্বাচন কমিশন
নির্যাতিতার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে উলুবেড়িয়া থানা। এই ইস্যুতে তোলপাড় গোটা লোকসভা কেন্দ্র।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: লোকসভা ভোটে বাংলায় নিযুক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর নানান কীর্তি নিয়ে তোলপাড় চলছেই। রবিবার সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ানের বিরুদ্ধেই উঠল শ্লীলতাহানির মতো গুরুতর অভিযোগ। উলুবেড়িয়া ১ নং ব্লকের চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিষেরেখা ব্রিজের কাছে রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে। নির্যাতিতার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে উলুবেড়িয়া থানা। এই ইস্যুতে তোলপাড় গোটা লোকসভা কেন্দ্র।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো রবিবার সকালেও হাঁটতে বেরিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। প্রায় একইসময়ে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন নির্বাচনের ডিউটিতে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ান। ওই মহিলা জানিয়েছেন, ‘এক জওয়ান যেচে আমার সঙ্গে আলাপ করেন এবং এলাকায় কী কী দেখার জিনিস আছে, স্টেশন কতদূর সহ নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন।’ এরপর মহিষরেখা ব্রিজের কাছে একটি মন্দিরে যান মহিলা। পিছু নেন দুই জওয়ান। মহিলা বলেন, ‘এক জওয়ান মন্দিরের ছবি তোলার পাশাপাশি আমার ছবি তোলার চেষ্টা করেন। যদিও আমি বাধা দেওয়ায় তিনি থেমে যান।’ এরপরই আসল রূপ ধরেন এক জওয়ান। গৃহবধূর অভিযোগ, ‘অভিযুক্ত জওয়ান আমার কাছে চলে আসেন এবং কাঁধে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করেন। আমি চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করি। তখন স্থানীয়রা এসে ওই জওয়ানকে ধরে ফেলেন।’ এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ালে উলুবেড়িয়া থানার পুলিস দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে জওয়ানকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনায় যুক্ত না থাকায় অপরজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওই গৃহবধূ উলুবেড়িয়া থানায় এসে অভিযুক্ত জওয়ানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বেরিয়ে বলেন, ‘একজন জওয়ান এই ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে! ভাবতেই পারছি না। আমি চাই, ওর কঠিনতম শাস্তি হোক।’ চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সনাতন পাল বলেন, ‘দেশের সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত একজন জওয়ানের কাছ থেকে এই ধরনের কাজ আশা করা যায় না। ওই জওয়ানের উপযুক্ত শাস্তির প্রয়োজন।’
হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিস সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া বলেন, ‘গৃহবধূর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১, ৩৫৪ ও ৫০৯ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্ত জওয়ানকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’ এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের এক কর্তা বলেন, ‘অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিস যথোপযুক্ত তদন্ত করে দেখবে বিষয়টি।’
এই ঘটনাটির প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। দেখুন কী বললেন তিনি:
আরও একটি যৌন নিপীড়নের ঘটনা সামনে এসেছে। উলুবেড়িয়ার পর এবার হুগলীর জাঙ্গিপাড়ায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী মহিলাদের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে? কী বললেন তৃণমূলের মুখপাত্র ঋজু দত্ত এবং সাংসদ সাগরিকা ঘোষ, দেখুন ভিডিও