মাদার ডেয়ারি এখন ‘বাংলার ডেয়ারি’, নাম বদলে সিলমোহর রাজ্য মন্ত্রিসভার

December 24, 2025 | 2 min read

Authored By:

Ritam Ritam

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:১৫: ‘মাদার ডেয়ারি’ এবার অতীত। এই সংস্থাটি সম্পূর্ণভাবে মিশে যাচ্ছে ‘বাংলার ডেয়ারি’-র সঙ্গে। বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সংযুক্তিকরণে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। বৈঠকের শেষে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা করেন।

এদিন মন্ত্রী স্পষ্ট জানান, মাদার ডেয়ারি ক্যালকাটা এবং বাংলার ডেয়ারি-উভয় নামই মানুষের পরিচিত। তবে প্রশাসনিক সুবিধার্থে মাদার ডেয়ারির সম্পূর্ণ অংশ বাংলার ডেয়ারির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া (Merger) হল। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “এবার থেকে বাংলার ডেয়ারি হিসেবেই সব পণ্য পাওয়া যাবে। আজ থেকে মাদার ডেয়ারির আর কোনও পৃথক অস্তিত্ব থাকবে না।” অর্থাৎ, এখন থেকে বাজারে দুধ বা দুগ্ধজাত যা কিছু মিলবে, তা ‘বাংলার ডেয়ারি’ ব্র্যান্ড নামেই বিক্রি হবে।

দুগ্ধ শিল্পের খোলনলচে বদলের পাশাপাশি রাজ্যের বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে ও শিল্পায়নের গতি বাড়াতেও একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে। রাজ্যে বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা সামাল দিতে বড়সড় পদক্ষেপ নিল নবান্ন (Nabanna)। মন্ত্রী জানান, রাজ্যে মোট ১,৬০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি ‘সুপার ক্রিটিক্যাল পাওয়ার প্ল্যান্ট’ তৈরি করা হবে। ৮০০ মেগাওয়াট করে দুটি ইউনিটে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। এই প্রকল্পের জন্য আগামী ২৫ বছরের লিজে জমি দেওয়া হবে, যা প্রয়োজনে আরও ৫ বছর বাড়ানো যেতে পারে।

রাজ্যে লগ্নির পরিবেশ উন্নত করতে এবং কর্মসংস্থান (Employment) বাড়াতে একাধিক জমিতে ছাড়পত্র দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে (BGBS) নাহার ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্টারপ্রাইজেস লিমিটেড ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, সিলিং-এর অতিরিক্ত ১১.৩৫ একর জমি তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এই জমিতে মূলত অ্যামাজন এবং ফ্লিপকার্টের মতো ই-কমার্স (E-commerce) সংস্থার ওয়্যারহাউস বা গুদাম তৈরি হবে।

হাওড়ার অঙ্কুরহাটিতে জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি পার্কের কাজ ত্বরান্বিত করতে ডোমজুড়ে ২০৮৪.২৬ বর্গফুট জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া কারিগরি শিক্ষা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ০.৫ একর জমিতে বিশেষ পরিকাঠামো গড়ে তুলবে ডব্লিউবিআইডিসি (WBIDC)।

পানাগড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের জন্য ১.৩৭ একর এবং হরিণঘাটায় ২.৭৭ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি, জঙ্গলসুন্দরী কর্মনগরীর প্রকল্পের জন্য ১১৫ একর জমি দেওয়ার সিদ্ধান্তেও সিলমোহর দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen