জীভে জল আনা নিহারির ঠিকানা
গোটা বিশ্বে হয়তো হাতগুনটি কিছু খাবারই আছে যা কলকাতায় পাওয়া যায় না। পৃথিবীর সব জায়গার সব রকম খাবারের হদিস মেলে এই শহরে।
গোটা বিশ্বে হয়তো হাতগুনটি কিছু খাবারই আছে যা কলকাতায় পাওয়া যায় না। পৃথিবীর সব জায়গার সব রকম খাবারের হদিস মেলে এই শহরে। কলকাতার অলিতে গলিতে রয়েছে নানা গুপ্তধনের সন্ধান – খোঁজ পাওয়া চাই।
সেরকমই, শীতকালে ভারত উপমহাদেশের এক জনপ্রিয় খাবার, নিহারি, কলকাতায় মেলে অনেক জায়গায়। মূলত মাংসকে অল্প আঁচে অনেক সময় ধরে রান্না করে তৈরী করা হয় এই স্টু, যার পোশাকি নাম নিহারি। পাঁঠা, মুরগি, গরু, ভেড়ার পায়ের অংশ এবং অস্থিমজ্জা দিয়ে বানানো হয় নিহারি।
কলকাতাতেও জলখাবারে এই খাবার যথেষ্ট জনপ্রিয়। কলকাতাতেই বেশ কিছু দোকান আছে যেখানে আপনি আপনার মনপসন্দ নিহারি পেয়ে যাবেন।
সুফিয়া, বড় বাজার
নিহারি বলতেই প্রথম যার কথা মনে পড়ে তা হল সুফিয়া। ভোর চারটের সময় দোকান খোলার প্রায় সাথে সাথেই ভীড় জমে যায়। ১৪০ টাকা প্লেটের বিফ নিহারির চাহিদা অফুরন্ত। যারা বিফ খান না তাদের জন্যে রয়েছে মটন পায়া।
সাইকা, বেকবাগান
ছোট্ট, বহু পুরনো এই রেস্তোরাঁটি খুব সাজানো গোছানো না হলেও এখানে পাওয়া যায় জীভে জল আনা নিহারি। একবার খেলে ভুলতে পারবেন না। বিফ নিহারি এক প্লেটের দাম ৪৫ টাকা এবং এক প্লেট মটন পায়ার দাম ৬৫ টাকা। কম পয়সায় সুস্বাদু খাবার খেতে চাইলে চলে আসুন এখানে।
সিরাজ গোল্ডেন রেস্তোরাঁ, মল্লিকবাজার
এই রেস্তোরাঁর বিশেষত্ব হল মোঘলাই কুইজিন। ১৩০ টাকায় পেয়ে যাবেন মটন পায়া এবং ল্যাম্ব নিহারি। সাড়ে ছটা থেকে এখানে খাবার পরিবেশন শুরু হয়ে যায়।
নাফীল, পার্ক সার্কাস
বিফ প্রেমীদের একপ্রকার স্বর্গ এই মোঘলাই রেস্তোরাঁটি। সকাল সাড়ে চারটে থেকে ৯টা অবধি নিহারি পাওয়া যায় মাত্র ৬৫ টাকায়। আর সন্ধ্যে বেলা মাটন পায়া এবং ল্যাম্ব নিহারি পেয়ে যাবেন ওই একই দামে।
ইউপি বিহার রেস্তোরাঁ, হগ মার্কেট
১৯৩৭ সাল থেকে এই রেস্তোরাঁটি একই ভাবে খাবার পরিবেশন করে চলেছে। নিজাম’স এর ঠিক পাশেই এই রেস্তোরাঁ মোঘলাই খাবারের জন্যে বিখ্যাত। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে এখানে বিফ নিহারি পাওয়া যায় মাত্র ৭০ টাকায়। সকালের ঘুমের একটুও ক্ষতি না করে চটপট খেয়ে আসুন এই সুস্বাদু খাবার।
