মৃণাল সেন – ওষুধ বিক্রেতা হয়ে উঠলেন কিংবদন্তী পরিচালক

উচ্চশিক্ষার পাট চুকিয়ে প্রথমে সাংবিদকতাকে বেছে নেন পেশা হিসেবে। এরপর ওষুধ বিক্রেতার কাজও করেন। পরে চলচ্চিত্রে সাউন্ড স্পেশালিস্ট হিসাবে কাজ করেছিলেন তিনি।

May 14, 2021 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

১৯২৩ সালে ১৪ মে, আধুনা বাংলাদেশের ফরিদপুরে জন্ম গ্রহণ করে ছিলেন বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও লেখক মৃণাল সেন (Mrinal Sen)।

৪০-এর দশকে তিনি ইন্ডিয়ান পিপ্‌লস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশন-এর সঙ্গে যোগদান করেছিলেন।

উচ্চশিক্ষার পাট চুকিয়ে প্রথমে সাংবিদকতাকে বেছে নেন পেশা হিসেবে। এরপর ওষুধ বিক্রেতার কাজও করেন। পরে চলচ্চিত্রে সাউন্ড স্পেশালিস্ট হিসাবে কাজ করেছিলেন তিনি।

এরপরই তিনি স্থির করেছিলেন ছবির জগতে পা রাখবেন। শুরু হয়েছিল শ্যুটিং, প্রথম ছবি রাত-ভোর, মুক্তি পেয়েছিল ১৯৫৫ সালে।

তাঁর দ্বিতীয় ছবি নীল আকাশের নিচে স্থানীয় পরিচিতি এনে দিলেও, স্বপ্নপূরণ হয় তৃতীয় ছবিতে, ১৯৬০ সালে বাইশে শ্রাবণ ছবি থেকে আন্তর্জাতিক পরিচিতি তৈরি হয়েছিল পরিচালকের।

১৯৬৯ সালে ভূবন সোম ছবি তাঁকে চূড়ান্ত শিখরে নিয়ে যায়। এরপর কলকাতা ৭১, পদাতিক, আকালের সন্ধানে, অন্তরীণ-এর মতো ছবি তৈরি করেছিলেন পরিচালক। তাঁর শেষ ছবি আমার ভূবন, মুক্তি পেয়েছিল ২০০২ সালে।

চলচ্চিত্রের পাশাপাশি টেলিভিশনেও অসংখ্য কাজ করেছেন তিনি, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইচ্ছেপূরণ, অপরাজিত, আজনবি, দশ সাল বাদ প্রভৃতি।

বাংলা তথা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রের এক মহিরূহ বলে অভিহিত করা হয় মৃণাল সেনকে। যিনি একাধিক ছবিতে তৎকালীন কলকাতার অস্থির অবস্থার ছবি যত্নসহকারে তুলে ধরেছিলেন।

তাঁর কালজয়ী সৃষ্টির জন্য সম্মানিত হয়েছেন পদ্মভূষণ, দাদা সাহেব ফালকে সম্মানে, ফ্রান্স ও রাশিয়া থেকেও পেয়েছে সরকারি সম্মান।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen